আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র না সাপের আড্ডাখানা, বুঝতে অসুবিধায় পড়তে পারেন!
বসিরহাট শহরের বুক চিরে বয়ে গিয়েছে ইছামতি নদী। এই গুরুত্বপূর্ণ নদীর নব্যতা ক্রমশই কমছে। ফলে তার চরিত্র বদলাতে শুরু করেছে। ফলে এক পাড় ভাঙছে আরেক পাড় গড়ছে। আর ঠিক সেই সুযোগে বসিরহাটের রেজিস্ট্রি অফিস মোড় চত্বরে ইছামতির চর দখল করে ঝাঁ চকচকে চারতলা বিল্ডিং তৈরি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ফলে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে শহর বসিরহাট। শহরের প্রাণকেন্দ্র ঐ এলাকায় রয়েছে একাধিক সরকারি দফতর সহ প্রচুর দোকানপাট। পাশাপাশি একদিকে রয়েছে ইটিন্ডা রোড অন্যপ্রান্ত রয়েছে রাজ্য সড়ক-২ (টাকি রোড) এর সংযোগস্থল। এই এলাকা দিয়েই সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে।
advertisement
তার কারণে একদিকে বসিরহাট মহকুমা রেজিস্ট্রি অফিস, বসিরহাট মহকুমা আদালত আর তার পরেই রয়েছে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অফিস সহ একাধিক নামি বিদ্যালয়। যেখানে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করে এই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াতও করে। সেখানে গগনচুম্বী এই নির্মাণ নদীর চরে গড়ে ওঠায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছেএলাকাবাসীদের কপালে। ইতিমধ্যে বসিরহাটের শহরের বিশিষ্টজনরা বিপদের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা নদীর চরিত্র পরিবর্তন, অবৈধ নির্মাণ ও নদীর বাস্তুতন্ত্র নষ্টের মতো ঘটনার অভিযোগ করেছেন বসিরহাটের মহকুমাশাসকের দফতরের। বিষয়টি নিয়ে বসিরহাটের মহকুমাশাসক আশিস কুমার বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে। অবিলম্বে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ সেই ভোলা ঘোষ ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি। সুন্দরবন নদী বাঁধ ও জীবন জীবিকা রক্ষা কমিটির কার্যকারী সভাপতি অজয় বাইন এই অবৈধ নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন, ওই এলাকায় আদালত, পুরসভা, একাধিক স্কুল সহ বিভিন্ন সরকারি দফতর রয়েছে। পাশাপাশি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর ঘোজাডাঙা যাওয়ার অন্যতম ইছামতি সেতুও ওখানেই। যেখান থেকে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার লরি সহ একাধিক গাড়ি যাতায়াত করে। এরকম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নদীর চর দখল করে অবৈধ নির্মাণ হলে আগামীতে নদীর পাড় ভেঙে শহর তথা সেতু ভাঙনের মুখে পড়তে পারে। পাশাপাশি বসিরহাট পুরসভার উপ-পুরপ্রধান সুবীর সরকার বলেন, নির্দিষ্টভাবে পুরসভার কাছে কোনও অভিযোগ হয়নি। পেলে আমরা বিশেষ কমিটি করে তদন্ত শুরু করব। আগামী বোর্ড মিটিংয়ে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। কোনও বেআইনি কাজ বরদাস্ত করা যাবে না।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে অবৈধ নির্মাণ মুখের কথা নয়। ফলে এই অবৈধ নির্মাণকারীদের মাথায় প্রভাবশালীদের হাত আছে বলে শহরবাসীদের অনুমান। কিন্তু তারা কারা সেটা কেউ জানে না।
জুলফিকার মোল্লা