স্থানীয়দের দাবি, এই ধরনের গাড়ি চালানো এখন শুধু উপদ্রবই নয়, রীতিমতো আতঙ্কের কারণ। কিছু বাইকার আবার ভিডিওগ্রাফি বা রিল বানানোর নেশায় আরও বেশি ঝুঁকি নেয়। দু’দিন আগেই তেঘরিয়া মোড়ে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। দ্রুতগতিতে বাইক চালাতে চালাতে ভিডিও তুলতে গিয়ে একদল রোমিও বাইকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে এক পথচারীকে। প্রাণ যায় ওই ব্যক্তির। এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ক্ষোভ ও আতঙ্ক।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে কড়া ভূমিকায় নেমেছে বসিরহাট জেলা পুলিশ। দুর্ঘটনাপ্রবণ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে নজরদারি বাড়ানো, হেলমেট ও কাগজপত্র পরীক্ষা, অবৈধ সাইলেন্সার আটক এবং বেপরোয়া বাইক চালানোর বিরুদ্ধে বিশেষ ড্রাইভ।
বসিরহাট পুলিশ জেলার ট্রাফিক ডিএসপি ড. সুব্রত কুমার বারিক জানান, “রাস্তায় বেপরোয়া বাইক চালানো যেভাবে দুর্ঘটনার কারণ হয়ে উঠছে, তাতে আমরা জোরদার অভিযান শুরু করেছি। অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক, অবৈধ সাইলেন্সার, রেসিং-স্টাইল গাড়ি চালানো—এসবের বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন- চোখ ধাঁধানো ছাদ বাগান এবার Budget Friendly ! মাত্র ৫০০০ টাকা থাকলেই ব্যাস
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুধুমাত্র সতর্কীকরণ নয়, এবার ফোকাস হচ্ছে কঠোর শাস্তির উপর—বাইক জব্দ করা থেকে শুরু করে নিয়মভঙ্গ করলে কড়া জরিমানাও করা হবে। দুর্ঘটনা রুখতে বাড়ানো হয়েছে মোবাইল পেট্রোলিং ও সিসিটিভি নজরদারি। প্রশাসনের এই উদ্যোগে স্বস্তি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয়দের আশা, কড়া পদক্ষেপের ফলে রাস্তায় নিরাপত্তা ফিরবে, কমবে রোমিও বাইকারদের দৌরাত্ম্য।





