এই ছাত্রাবাসের শিকড় গাঁথা ১৯৫২ সালে, যখন হিঙ্গলগঞ্জের শিক্ষক নিত্যানন্দ সেনগুপ্ত সীমান্তবর্তী গরিব ও মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মাটির্মাণ রোডে সাড়ে চার কাটার একটি জমি কেনেন। খড়ের চালের ছোট ঘর দিয়ে শুরু হয় তাঁর স্বপ্নের যাত্রা — সমাজকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা। আজ তিনি প্রয়াত, কিন্তু তাঁর আদর্শ বেঁচে আছে। তার অনুপ্রেরণায় ৯২ জন শিক্ষানুরাগী নিজেদের সঞ্চিত অর্থে তৈরি করলেন একটি অত্যাধুনিক ছাত্রাবাস। ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা।
advertisement
এখানে সীমান্ত ও সুন্দরবনের মেধাবী, দুঃস্থ ছাত্ররা বিনামূল্যে থেকে পড়াশোনা করতে পারবে। তাদের খাওয়া-দাওয়াও থাকবে সম্পূর্ণ নিখরচায়। এই ছাত্রাবাস শুধু থাকার জায়গা নয়, এটিই হবে তাদের দ্বিতীয় ঘর, যেখানে তাঁরা কোচিং, গাইডেন্স ও জীবনের প্রতিটি স্তরে গড়ে ওঠার জন্য পাবেন প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশ। ছাত্রাবাসের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন ১১ জন শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষকতা থেকে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ ব্যক্তিত্বেরা, সমাজসেবী আইনজীবী ও চিকিৎসকরাও।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সম্মান জানানো হয় সেইসব শিক্ষক, চিকিৎসক ও সমাজসেবীদের, যাঁরা নিজেদের জীবনভর জমানো অর্থ মানবিক প্রয়োজনে দান করেছেন। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের একাত্মতায় যেন তৈরি হয়েছে এক অভিনব শিক্ষাকেন্দ্র — যেখানে বিদ্যার সঙ্গে মিশে আছে মূল্যবোধ, দায়িত্ব ও সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি। এই আবাসিক প্রকল্প শুধু বসিরহাট নয়, গোটা রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।
জুলফিকার মোল্যা