আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘণ্টায় ফের আবহাওয়ার ভোলবদল! মঙ্গল থেকে শুক্র ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা, IMD-র বিশাল আপডেট
বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের মধ্যে অনুষা পাল, সৃষ্টি সরকার, অদিতি বর্মন, নিকিতা হালদার সকলেরই একই মত এই উৎসবের অপেক্ষায় প্রতিবছর সকলে থাকেন। পড়ুয়া জানান, শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসব মানে অন্য আমেজ ৷ এবার এখনও মহড়া শুরু হয়নি। কেউ কিছু বলতেই পারছেন না।খুবই খারাপ লাগছে বসন্তোৎসব অনিশ্চিত জেনে। প্রত্যেকে সারাবছর অনেক আশা করে থাকে এই উৎসবের জন্য। এই উৎসবের উপর নির্ভর করে বোলপুরের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই, বোলপুর-শান্তিনিকেতনে সমস্ত হোটেল বুক হয়ে গিয়েছে। এমন সময় শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসব অনিশ্চিত জেনে আক্ষেপ হোটেল-রিসর্ট ব্যবসায়ীদের৷ অনেকেই হোটেল বুকিং ক্যানসেল করে দিচ্ছেন। রিসর্ট ব্যবসায়ী লিপি বলেন, “বসন্তোৎসব হবে না জেনে খুব খারাপ লাগছে ৷ এই উৎসবে শামিল হতে কত পর্যটক আসেন শান্তিনিকেতন। তাঁরা নিরাশ হবেন। ক্ষতি হবে ব্যবসারও৷”
advertisement
উল্লেখ্য, পৌষমেলা নিয়ে নানা টালবাহানার পর এবার বসন্তোৎসব নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯ সালে শেষবার শান্তিনিকেতনের আশ্রম মাঠে হয়েছিল বসন্তোৎসব। সেবার অত্যাধিক ভিড় ও প্রশাসনিক ব্যর্থতায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা গিয়েছিল ৷ ২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ ছিল বসন্তোৎসব। ২০২২ ও ২০২৩ সালে তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বসন্তোৎসবের আয়োজন করেননি বলে অভিযোগ উঠেছিল ৷ শোনা গিয়েছিল, রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ায় কোপ পড়েছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা ও বসন্তোৎসবে ৷
এবার অনেকেই মনে করেছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিক হয় তো বসন্তোৎসবের আয়োজন করবেন।কিন্তু, কার্যত শান্তিনিকেতনে অনিশ্চিত বসন্তোৎসব।কারণ, এখনও পর্যন্ত উৎসব সংক্রান্ত কোনও বৈঠক করেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এমনকী, বৃহৎ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়াও শুরু হয়নি ৷ বসন্ত উৎসবেরপ্রায় ১ মাস আগে প্রশাসনিক বৈঠক ও অনুষ্ঠানের মহড়া শুরু হয়ে যায় ৷ এই সব কিছু না হওয়ায় এবারেও যে শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসব উৎসব হচ্ছে না তা অনুমান করাই যায়।
সৌভিক রায়