বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বোলপুর শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী বসন্তোৎসবে এক সময় দেশ থেকে বিদেশের পর্যটকদের সমাগম হত। তবে প্রসঙ্গত ২০২০ সালের পর থেকে নানা কারণে সেই উৎসবে সাধারণ মানুষের প্রবেশর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেওয়া হয়। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালেও শুধুমাত্র বিশ্বভারতীর পড়ুয়া,শিক্ষক ও আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বসন্ত উৎসব পালন করা হয়।
advertisement
এবারও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দোলের আগেই এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে বসন্ত উত্সব ‘উন্মুক্তভাবে’ না হওয়ায় হতাশ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এভাবেই যদি প্রতিবছর ছাত্র শিক্ষকদের নিয়েই পালিত হয়,তাহলে আগামীদিনে আন্তর্জাতিক মানের এই উত্সব হারিয়ে যেতে পারে। বসন্ত উৎসব ঐতিহ্যবাহী না হওয়ার কারণে কার্যত মাথায় হাত হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
শান্তিনিকেতন ভ্রমণে আগত এক পর্যটক জানান বোলপুর শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবের সঙ্গে কবিগুরুর নানা স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। যদি প্রত্যেক এমনভাবেই ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসবে না করেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাহলে পর্যটকদের কাছে ধীরে ধীরে এই বসন্ত উৎসবের আকর্ষণ কমে যাবে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তে কার্যত হতাশ পর্যটকরা।
সৌভিক রায়





