Heart Attack: এগুলোই 'সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক'-এর লক্ষণ! কোন অঙ্গে কী সমস্যা হয়? শরীর খারাপ ভেবে ভুল করলে নিশ্চিত মৃত্যু

*একটা সময় ছিল, যখন একটু বয়স হলে তবেই মানুষেরই হার্টের সমস্যা হত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বারে বারে দেখা যাচ্ছে ৩০ পেরলেই বহু মানুষের হার্টের সমসদ্যা হচ্ছে। আজকের তরুণ প্রজন্ম ছুটছে পুরোপুরি প্রযুক্তির পিছনে। তাদের স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় নেই। অল্প বয়সে অনেকের স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে হৃদরোগ হঠাৎ করেই আসছে। সংগৃহীত ছবি।

*হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে নীরব হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। বর্তমানে প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষেরই হার্ট অ্যাটাকের আগে নীরব হার্ট অ্যাটাক। এটি মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি সাধারণ। সংগৃহীত ছবি।

*সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাককে ডাক্তারি ভাষায় সাইলেন্ট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বলা হয়। এই নীরব হার্টের সমস্যাটি যে কোনও সময় আসতে পারে। বুকের কাছে ব্যথা আছে বলে মনে হতে পারে। অনেকে মনে করেন এটা কিছুই না। একে উপেক্ষা করে...তারপর একদিন সত্যিকারের হার্ট অ্যাটাক হয়, তাতেই অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে সঠিক সময়ে হৃদযন্ত্রের যত্ন নিলে মৃত্যু এড়ানো যায়। সংগৃহীত ছবি।

*সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক হলে বুকে ব্যথা খুব একটা হয় না। ছোট অ্যাটাক হলে হাত, ঘাড় ও চোয়ালের কাছে সামান্য ব্যথা হতে পারে। চোখ বিবর্ণ হয়ে যায়। এমন লক্ষণ দেখা দিলে তা সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। বেশির ভাগ মানুষেরই এই লক্ষণগুলো থাকে... এগুলি হার্ট-সম্পর্কিত সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করা যায় না। সংগৃহীত ছবি।

*অবহেলা করলে হার্টের মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আপনার 'নীরব হার্ট অ্যাটাক' বা 'সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক' হয়েছে কিনা তা এই লক্ষণগুলির দেখে বুঝে নিন...সংগৃহীত ছবি।

*শরীরের নানা অংশে অস্বস্তি: আসন্ন হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি শরীরের নির্দিষ্ট অঙ্গগুলিতে উপস্থিত হয়। স্তনে ব্যথার পাশাপাশি... বাহু, মেরুদণ্ড, ঘাড়, চোয়াল এবং পেটে অস্বস্তি। এই বৈশিষ্ট্যগুলি সবার জন্য একই নয়। তাই স্পট করা এত সহজ নয়। বেশিরভাগ লোকই পিঠে ব্যথা অনুভূত হয়। মনে হয় যেন গোটা শরীর চারপাশে দড়ি বাঁধা। সংগৃহীত ছবি।

*শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা: কিছু লোক শ্বাস নিতে পারে না। দৌড়লে নিঃশ্বাস নিতে পারবেন না। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে ক্লান্তি আসে। এর কারণ... এটি ঘটে যখন হার্ট পর্যাপ্ত অক্সিজেনযুক্ত রক্ত পায় না। স্তনের কাছে অস্বস্তি হলে শ্বাসকষ্ট একটি সাধারণ সমস্যা। এটি নীরব হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণও হতে পারে। এছাড়াও, চোখ ঝাপসা হয়ে যাবে। সংগৃহীত ছবি।

*সহজ কাজগুলোতে কষ্ট অনুভব করা: অনেক সময় দৈনন্দিন কাজ করতে পারেন না সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক হলে। হাঁটতে অসুবিধা হয়, কাপড় ধোয়াও কষ্টকর হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতি দেখা দিলে ... সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের কথা ভাবা যেতে পারে। সংগৃহীত ছবি।

*বমি বমি ভাব এবং ঠান্ডা ঘাম: কিছু লোক বমি বমি ভাব অনুভব করতে পারে। গরম না থাকলেও ঘামছে এমন ঘটে আকছাড়। এমন ঘটনা ঘটলে তাদের সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর হলে যেমন হয়, তেমনই হয়। অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। আপনি যদি সাবধান থাকতে চান, হার্টের স্বাস্থ্য ঘন ঘন স্ক্রিনিং করুন। পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। সংগৃহীত ছবি।