বর্ধমানের বংপুরের বাসিন্দা সম্রাট সরকার,একটি বেসকারী স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়া। সম্রাট ছোট থেকেই প্রচন্ড চঞ্চল তাই তাকে দাবায় ভর্তি করেছিলেন মা-বাবা। মা বাবার কথায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই দাবা খেলার শুরু করলেও বর্তমানে দাবাই হয়ে উঠেছে তার ধ্যান জ্ঞান। সম্রাট বাবার কর্মসূত্রে থাকতেন কলকাতায়।
সেখানেই মাত্র ৫ বছর বয়সে এক কোচের কাছে প্রথম হাতে খড়ি। পরে তারা আবার ফিরে আসেন বর্ধমানে এবং এখানে সুফল চন্দ্র মন্ডলের কাছে শুরু করেন শেখা। এরপরই ধীরে ধীরে দাবাকে ভালবাসতে শুরু করে সম্রাট এবং দাবাই হয়ে ওঠে তার ধ্যান জ্ঞান।আসতে শুরু করে একাধিক সাফল্যও।
advertisement
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সে জিতেছে বিভিন্ন মেডেল ও নানান পুরস্কার। আর গত ছয় মাস ধরে শুরু করেছেন নতুন প্র্যাকটিস, ব্লাইন্ড চেস।চোখে কালো কাপড় বেঁধেই দাবার চাল বলে দিতে পারে সে।এমন প্রতিভা দেখে অবাক সকলেই।সম্রাট বলে,মাস খানেক হয়েছে স্যার চোখ বন্ধ করে দাবার চাল দেওয়া শেখাচ্ছেন,আমার এতে অনেক ইম্প্রুভমেন্ট হয়েছে এবং খেলাতে আগ্রহ বেড়েছে। আমার স্বপ্ন ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার হওয়ার।
সম্রাটের শিক্ষাগুরুষ সুফল চন্দ্র মন্ডল বলেন, ও আমার হাত যতটা শক্ত করে ধরেছে আমিও ওর হাত ততটাই শক্ত করে ধরতে পেরেছি কারণ ওর একটা প্রচন্ড নিষ্ঠা রয়েছে চেসের প্রতি। ব্লাইন্ড চেসের মাধ্যমে ব্রেনের একটা দারুন ম্যাচুরিটি তৈরি হয়। এটা ধীরে ধীরে আয়ত্ত করলে দাবায় অনেক সাফল্য পাওয়া যায়। সম্রাট চায় ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার হতে আর ২০৩১-এর মধ্যে আমি ওকে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার বানাবোই এটা আমার প্রতিজ্ঞা ওর কাছে।
সম্রাটের বাবা সুমন সরকার বলেন,আমি কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকতাম সেখানেই ছেলেকে দাবা খেলাতে ভর্তি করি পরবর্তীকালে লকডাউনে বর্ধমানে চলে এলে এখানে দাবার নতুন কোচ দেওয়া হয়। আগের থেকে এখন অনেক শিখেছে পাশাপাশি চোখা বেঁধে খেলা শিখিয়েছেন তার শিক্ষক।আমার ইচ্ছা সম্রাট একজন ভালো দাবারু হোক।
আরও পড়ুন- মেসি আসছেন কলকাতায়..! আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, বাড়িতে বসে দেখুন মেসির সফর
আমার জন্মস্থান বর্ধমান একজন ভালো দাবার পাক ও বর্ধমানের নাম উজ্জ্বল হোক। আর ছেলের এই সাফল্যে খুশী তার মাও। তিনি চান ছেলে এভাবেই যেন আরো এগিয়ে যেতে পারে। সম্রাটের এই সাফল্য সমগ্র বর্ধমানবাসীর কাছে গর্বের আর তার ব্লাইন্ড চেসের প্রতিভা মুগ্ধ করেছে সকলকে।





