ইতিমধ্যেই বাতাসে শীতের আমেজ। ক্রমেই নিম্নমুখী উষ্ণতার পারদ। খাদ্য প্রিয় মানুষদের কাছে শীতকাল যেন এক আদর্শ সময়। আর এই সময় যে খাবারের দিকে অনেকেই তাকিয়ে থাকেন তা হল খেজুর গুড়। পিঠে পুলি থেকে পায়েস বা অন্যান্য সুস্বাদু খাবারে নলেন গুড় যেন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় তার স্বাদ। তবে এবার পাওয়া যাচ্ছে সুগার ফ্রি নলেন গুড়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অসুস্থতা ভাঙতে পারেনি মনোবল! ট্রাই সাইকেলে ঘুরে ছোলা ভাজা বিক্রি, বৃদ্ধের জীবনযুদ্ধ কাঁদিয়ে ছাড়বে
পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরে এই শীতের মরশুমে দেদার বিক্রি হচ্ছে সুগার ফ্রি খেজুর গুড়। কাটোয়ার অশোক রায়ের খেজুর গুড়ের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে এই গুড়। কিন্তু গুড় কি সত্যিই সুগার ফ্রী হয়? এই প্রসঙ্গে দোকানের কর্ণধার অশোক রায় বলেন, “ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে যেটুকু জেনেছি তাতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যে খাবারে ৫৫-এর নিচে সেই খাবার সুগারের রোগীরা খেতে পারে। আমাদের যে প্রাকৃতিক খেঁজুরের রসের গুড় তাতে ৫৫ নিচে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স আছে। চিনি ছাড়া খেজুর গুড় আমি তৈরি করে মানুষকে সরবরাহ করছি। সুগারের রোগীরা অল্প স্বল্প খেতে পারবেন।”
আরও পড়ুনঃ রাজ্যস্তরের পাওয়ারলিফটিংয়ে বাজিমাত বর্ধমানের! জোড়া পদক জয়, জেলার গর্ব নবনীতা ও সৌম্য
আসলে এই গুড় তৈরির সময় একটুও চিনি মেশানো হয় না বলেই মত দোকানের কর্ণধারের। আর সে কারণেই এই গুড়কে সুগার ফ্রি, অর্থাৎ চিনি বিহীন গুড়ের আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই আসছেন এখন এই গুড় কেনার জন্য। সেরকমই গুড় কিনতে এসে ক্রেতা মুসারফ শেখ বলেন, “এই গুড়ের স্বাদ একেবারে খাঁটি, চিনি মেশানো হয় না। আমি প্রায় এখান থেকে গুড় কিনে নিয়ে যায়।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতি কেজি ৪০০ টাকা হিসাবে এই গুড় পাওয়া যাচ্ছে। দৈনিক সকালে দোকানের সামনেই টাটকা রস দিয়ে এই গুড় তৈরি হচ্ছে। এছাড়া সুগার ফ্রি গুড় পার্সেলের ব্যবস্থাও রয়েছে। অনলাইন মাধ্যমে অর্ডার করলে বাড়িতে বসেই পাওয়া যাবে সুগার ফ্রি গুড়ের স্বাদ। দোকানের কর্ণধার অশোক রায়ের কথায়, সুগারের রোগীরাও এই গুড় অল্প স্বল্প খেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের বিশেষ কোনও অসুবিধা হবে না।
সকাল হলেই ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন দোকানে। কিনে নিয়ে যাচ্ছেন সুগার ফ্রি নলেন গুড়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এমনকি ভিন রাজ্যেও বর্তমানে এই সুগার ফ্রি গুড়ের চাহিদা তুঙ্গে।





