সোমবার সকালে কালনা থানার ধাত্রীগ্রাম বিয়ার ফ্যাক্টরি সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন মিনাপুর গ্রামের যুবক মিরাজ শেখ। জানা গিয়েছে, রবিবারই তাঁর বিয়ে হয়েছিল। সোমবার সকালে ধাত্রীগ্রামে একটি কাজে এসে বাইক নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় লরির সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আজ তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হবে। ঘটনার পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে নববধূর পরিবারে।
advertisement
আরও পড়ুন : সবার চোখের সামনে হাতসাফাই, বুঝতে পারল না কেউ! সব কারসাজি ধরা পড়ল সিসিটিভিতে
অন্যদিকে এই দিন সকালে কেতুগ্রামের চরখি নতুন টোল প্লাজার সামনে ঘটে গেল আরেকটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। কেতুগ্রামের দেবপুর গ্রামের দুই যাত্রী সোমনাথ চোঙদার এবং মোহাম্মদ টিপু সুলতান এসবিএসটিসি বাস থেকে ছিটকে পড়ে প্রাণ হারান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অতিরিক্ত যাত্রীভর্তি বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রা করছিলেন তাঁরা। বাসের খোলা দরজা গিয়ে ধাক্কা মারে গার্ডরেলে, মুহূর্তের মধ্যে দু’জন সড়কে ছিটকে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পরও বাস থামেনি, পালিয়ে যায়। বহুক্ষণ রাস্তায় পড়ে ছিলেন আহতরা। বাসচালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও যাত্রীসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করার অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মৃতদের পরিজন ও গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, প্রতিদিন এই রুটে নজরদারির অভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।শুক্রবারই বর্ধমানে এক বাস দুর্ঘটনায় ১১ জন প্রাণ হারান। তার কয়েক দিনের মধ্যে ফের একের পর এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। অনেকেই বলছেন, নিয়মিত নজরদারি ও যাত্রী সুরক্ষার ব্যবস্থা না হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা আরও বাড়বে।