বর্ধমান রমনাবাগান অভয়ারণ্য থেকে বন্যপ্রাণী দত্তক দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল। বর্ধমান বনবিভাগের রমনা বাগান মিনি জু-র চারটি বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখি দত্তক নিলেন কলকাতা ও বর্ধমান নিবাসী চারজন পশু প্রেমী। এঁদের মধ্যে তিন বছর বয়সী এবং চার বছর বয়সী দুই শিশুও রয়েছে।
আরও পড়ুন- কোনও নামজাদা ক্যাফে নয়, কৃষ্ণনগরে রাস্তার পাশের 'এই' দোকানে মিলছে 'চকোলেট' চা
advertisement
বর্ধমান বন বিভাগের জেলা বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী জানিয়েছেন, এই রাজ্যে বছর দুয়েক আগে থেকেই আলিপুর ও দার্জিলিং চিড়িয়াখানা থেকে পশু পাখিদের দত্তক দেওয়ার কাজ চলছিল। বর্ধমানে এই প্রথম বন্যপ্রাণী দত্তক দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হল।
তিনি জানিয়েছেন, এর ফলে প্রকৃতিতে বসবাসকারী মানুষ এবং পশুদের ভারসাম্য রক্ষায় এই ব্যবস্থা কার্যকরী হবে। তেমনই বন্যপ্রাণীদের প্রতি মানুষ আরও বেশি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠবে। ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার আরও জানান, পশু পাখিদের দত্তক নিতে চেয়ে অনেকেই ইচ্ছা প্রকাশ করে আবেদন জানিয়ে আসছিলেন। এই প্রথম পশু পাখিদের দত্তক দেওয়ার কাজ সরকারিভাবে শুরু করা হল।
দমদম নিবাসী এক দম্পতির তিন বছরের ছেল সৌর্য্য দেব একটি এমু পাখি দত্তক নিয়েছে। এছাড়াও চার বছর বয়সী ঋতাভন মুখোপাধ্যায় নামে বর্ধমানের এক শিশুও একটি দেশি টিয়া পাখি দত্তক নিয়েছে। এরই পাশপাশি বর্ধমানের পশুপ্রেমী অর্ণব দাস একটি ময়ূর এবং রশ্মি দাস ভট্টাচার্য্য একটি ময়ূর ও একটি রূপালী তিতির দত্তক গ্রহণ করেছেন
আগামী একবছর দত্তক গ্রহণকারী সকলে রাজ্য বন দপ্তরের নির্ধারিত প্রাণী প্রতি বাৎসরিক অর্থ জমা দিয়ে তাদের দেখাশোনা করতে পারবেন। যদিও এই সমস্ত পশু পাখিদের যাবতীয় পর্যবেক্ষণ, দেখাশোনা ও ভরণপোষণের দায়িত্ত্ব থাকবে বন বিভাগের উপরই।
আরও পড়ুন- ভয়ে কাঁপছে শিক্ষকরা-পড়ুয়ারা, যে কোন সময়... চন্দ্রকোণার এই স্কুলে হলটা কী?
জেলা বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী ও অতিরিক্ত জেলা বনাধিকারিক সারদা সাহার উপস্থিতিতে দত্তক গ্রহণকারী সকলের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে রমনা বাগান চিড়িয়াখানার দত্তক নেওয়া পশুদের খাঁচার বাইরে দত্তক গ্রহণকারীদের নামের বোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
এদিন কলকাতার সৌর্য্য দেবের বাবা স্বর্ণব দেব ও মা সঞ্চারী ভট্টাচার্য্য দেব জানিয়েছেন, এতে ছেলের জীব বৈচিত্রের প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। তাছাড়া আমাদের বেচেঁ থাকার স্বার্থেই চারপাশের প্রাণী জগৎকে বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন। সেই ভাবনা থেকেই বন্যপ্রাণী দত্তক নেওয়ার ভাবনা।