West Bengal School: ভয়ে কাঁপছে শিক্ষকরা-পড়ুয়ারা, খোলা মাত্রই চন্দ্রকোণার এই স্কুলে হলটা কী?
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
West Bengal School: ক্লাস রুমের বেহাল অবস্থা, ছাদের চাঙড় ভেঙে তা খসে পড়ে। স্কুলে এসে চরম বিপদের সম্মুখীন ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষকদের।
#চন্দ্রকোণা: করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে দীর্ঘ দুবছর পর শিক্ষা দফতরের ঘোষণায় খুলেছে প্রাথমিক বিদ্যালয় (West Bengal School)। কিন্তু স্কুল খোলার পরই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কালাকড়িঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটে গেলে আতঙ্কের ঘটনা। ক্লাস রুমের বেহাল অবস্থা, ছাদের চাঙড় ভেঙে তা খসে পড়ে। স্কুলে এসে চরম বিপদের সম্মুখীন ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষকদের।
প্রাথমিকের ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় অভিভাবকেরা। শুধু অভিভাবকেরাই নই ভাঙাচোরা স্কুলে গিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় শিক্ষক থেকে মিড ডে মিলের রান্না তৈরির কর্মীদের। যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। কারণ ভাঙাচোরা স্কুল বিল্ডিং। ক্লাস রুমের অবস্থাও একই। ছাদের চাঙড় ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছে রড, প্রায়শই একটু একটু করে খসে পড়ে তা। প্রায় আট বছর ধরে এমনই বেহাল অবস্থায় রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণার এই স্কুল।
advertisement
যখন তখন স্কুলের চাঙড় ভেঙে নীচে পড়ছে, তাই ইতিমধ্যেই স্কুলের বেহাল রুম গুলিতে পঠনপাঠন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনটি রুমের মধ্যে গাদাগাদি করে চলছে পঠনপাঠন। একটি রুমে একসঙ্গে পাশাপাশি দুটি ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এতে অসহায় বোধ করছেন শিক্ষকেরা। ব্যাঘাত ঘটছে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায়।
advertisement
advertisement
জানা গিয়েছে, কালাকড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১০৪ জন, শিক্ষক সংখ্যা ৪ জন। ১৯৭৯ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়ের কংক্রিট বিল্ডিংয়ের বর্তমানে এমনই বেহাল দশা। ক্লাস রুম থেকে অফিস রুম এমনকি স্কুলের বারান্দাতে ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ছে। বেরিয়ে এসেছে লোহার রড। একটু বিপদ বুঝলে তা খসে পড়ার আগে লাঠি দিয়ে শিক্ষকেরা ছাড়িয়ে ফেলেন। শিক্ষকদের অভিযোগ, অফিস রুম, মিড ডে মিলের ঘর ও ক্লাস রুমের অবস্থা বেহাল। আলাদা তিনটি ছোট রুম ভালো থাকায় তার মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গাদাগাদি করে চলছে পঠনপাঠন। একটি রুমে দুটি ক্লাস হওয়ার কারণের জন্য পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে এবং করোনা বিধি পালনেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
advertisement
অভিভাবক থেকে শিক্ষক, সকলের দাবি, দ্রুত স্কুল বিল্ডিং মেরামত করা হোক। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণ পাত্র বলেন, ''প্রত্যেক বছরই অন্যান্য খাতের টাকা নিয়ে তা ব্যয় করতে হয় স্কুল বিল্ডিংয়ের জন্য। প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। স্কুল বিল্ডিং মেরামতের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।'' এখন দেখার কবে এই ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল মেরামতের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন।
view commentsLocation :
First Published :
February 17, 2022 1:58 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/চাকরি ও শিক্ষা/
West Bengal School: ভয়ে কাঁপছে শিক্ষকরা-পড়ুয়ারা, খোলা মাত্রই চন্দ্রকোণার এই স্কুলে হলটা কী?