TRENDING:

Bardhaman Rail Station Accident: কান্তির কপাল! মামাবাড়ি থেকে আর ফেরা হল না, বর্ধমান স্টেশনের এই ঘটনায় আপনার চোখ ভিজবে

Last Updated:

Bardhaman Rail Station Accident: সকালেও ট্রেন পায়নি কান্তি এবং তার ভাইয়েরা। তারপর তাঁরা পরবর্তী সন্ধের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিল। অবশেষে সেই অপেক্ষার পরিণতি দুর্ঘটনার শিকার। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব বর্ধমান: ট্রেন মিস না হলে হয়তো প্রাণ হারাতে হত না কান্তি বাহাদুরকে। নিশ্চয় ভাবছেন কে এই কান্তি বাহাদুর? বর্ধমান স্টেশন দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যে তিনজন মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যেই সবচেয়ে কমবয়সি কান্তি বাহাদুর। বয়স ষোলো। বর্ধমান স্টেশনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার জেরে প্রাণ হারাতে হয়েছে এই অল্প বয়সি ছেলেটাকে।
advertisement

কান্তির বাড়ি বিহারের সাহেবগঞ্জে। কান্তির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্তি বিহার থেকে তাঁর ভাইদের সঙ্গে হুগলি জেলার পান্ডুয়াতে, তাঁর মামার বাড়ি ঘুরতে এসেছিল। মঙ্গলবার বর্ধমান স্টেশন থেকে রাত ৮ টার সময় ট্রেন ধরে আবার দেশের বাড়ি বিহার ফিরে যাওয়ার কথা।

আরও পড়ুন: স্টেশনে হুড়মুড়িয়ে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে মৃত্যু, বর্ধমানের ঘটনায় বড় পদক্ষেপ নবান্নের

advertisement

সেই মতো বর্ধমান স্টেশনে মঙ্গলবার হাজির হয় কান্তি বাহাদুর, তাঁর দিদা এবং সঙ্গে থাকা দুই ভাই। তবে ট্রেনে অতিরিক্ত ভিড় থাকার কারণে তাঁর দিদা জিআরপি-র সহায়তায় ট্রেনে উঠে গেলেও , কান্তি এবং তাঁর দুই ভাই ট্রেনে উঠতে পারেনি। তাই সারারাত ধরে তাঁরা বর্ধমান স্টেশনেই অপেক্ষা করছিল বুধবার সকালের ট্রেনে বাড়ি ফিরবে বলে।

advertisement

তবে কান্তির পরিবারের দাবি, সকালে ওই রুটের ট্রেন বাতিল ছিল। তাই সকালেও ট্রেন পায়নি কান্তি এবং তার ভাইয়েরা। তারপর তাঁরা পরবর্তী সন্ধের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিল। অবশেষে সেই অপেক্ষার পরিণতি দুর্ঘটনার শিকার। বুধবার বর্ধমান স্টেশনে ঘটে যায় ভয়াবহ দূর্ঘটনা, যার জেরে প্রাণ হারাতে হয় কান্তি বাহাদুরকে। তাই কান্তির পরিবারের দাবি, ট্রেন মিস না হলে হয়তো প্রাণ হারাতে হত না কান্তিকে।

advertisement

আরও পড়ুন: ক্যানসার-কৃমি-কোষ্ঠকাঠিন্যর যম, সাদা এই ফুলের বড়া স্বাদেও খাসা! আজই কিনে গরম গরম খান

এই প্রসঙ্গে কান্তি বাহাদুরের এক দাদা জানিয়েছেন, “মঙ্গলবার যদি ওরা ট্রেনটা পেয়ে যেত, তাহলে ভাল ভাবেই বাড়ি ফিরে যেত। ট্রেন মিস না করলেই বাড়ি পৌঁছে যেত। পরেরদিন সকালেও ট্রেন ছিল না। ওই ট্রেনটাও যদি পেত, তাহলেও ভাল ভাবে বাড়ি চলে যেত। ওরা সেই সন্ধের ট্রেনের আশায় বসে ছিল।” মঙ্গলবার দিদার সঙ্গে ট্রেনে উঠতে পারলে অথবা বুধবার সকালের ট্রেন বাতিল না হলে হয়তো বাড়ি ফিরে যেত কান্তি। বাড়ি সে ফিরছে তবে ময়নাতদন্তের পর কফিনের মধ্যে। স্বভাবতই অল্পবয়সি ছেলের মৃত্যুতে এখন কান্তির পরিবার জুড়ে শুধুই শোকের ছায়া।

advertisement

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bardhaman Rail Station Accident: কান্তির কপাল! মামাবাড়ি থেকে আর ফেরা হল না, বর্ধমান স্টেশনের এই ঘটনায় আপনার চোখ ভিজবে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল