স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক বা মহকুমা হাসপাতাল থেকে রেফার করার প্রবণতা কমানোর চেষ্টা চলছে। সে জন্য আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের যৌথ ভাবে সমীক্ষা করে নিয়মিত রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। ওই কর্মীরা ঠিকমতো পরিদর্শন করছেন কী না, ঝুঁকিপূর্ণদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে খাচ্ছে কি না, প্রসূতিরা কেন ঝুঁকিপূর্ণ সে সব খোঁজ নিতে জেলার ২৩টি ব্লকে এক জন করে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে ১ নজরদারির দায়িত্ব দিয়েছেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা।
advertisement
আরও পড়ুন: পার্থর শূন্যতা ভরাবে কে? 'দূত' নিয়ে দরজায় পৌঁছবেন খোদ 'দিদি'! মাস্টারস্ট্রোক মমতার
এ ছাড়াও প্রসূতি মৃত্যু কমাতে প্রত্যেক মহকুমা শাসক, বিডিও এবং সিডিপিও-কেও বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, প্রসূতি ও শিশুদের নিয়ে নিচু স্তরে পৃথক ভাবে কাজ করে আশা, অঙ্গনওয়াড়ি, স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁরা যৌথ ভাবে কাজ করে তথ্যের আদানপ্রদান করলে ঝুঁকিপূর্ণ প্রসূতি ও অপুষ্টদের চিহ্নিত করার কাজে গতি আসবে। দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: 'দিদির ভূতেদের তাড়াও, দেবানন্দপুর বাঁচাও', 'ভূতের' খোঁজে তুমুল চাঞ্চল্য ব্যান্ডেলে
জানা যায়, প্রসূতি-মৃত্যুর হার বৃদ্ধির জন্য কয়েকটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। সঙ্কটজনক অবস্থায় প্রসূতিদের রেফার করা হচ্ছে। তাতে মৃত্যুর হার বাড়ছে। অপ্রয়োজনে যেমন অনেক রেফার হচ্ছে, তেমনই অনেক ক্ষেত্রে রেফার করতে দেরি হওয়ায় প্রসূতির মৃত্যু হচ্ছে। আবার প্রসূতিদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা ঠিকমতো হচ্ছে না। সে জন্য প্রসবের ঠিক আগে রক্তচাপ বৃদ্ধি-সহ নানা উপসর্গে মৃত্যু হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, প্রথমেই ঝুঁকিপূর্ণ প্রসূতিদের চিহ্নিত করে চিকিৎসা শুরু হয়ে গেলে রেফার করার প্রবণতা কমবে। তাতে মৃত্যুর হারও অনেকটা কমবে।