প্রতারিত গয়না ব্যবসায়ী বর্ধমান থানায় এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বর্ধমান শহরের বড়নীল মধ্যপাড়ার বাসিন্দা দিলীপ পালের গয়নার দোকান রয়েছে। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে মোটর সাইকেল নিয়ে একজন দোকানে আসে। নিজেকে পুরসভার 'বড়বাবু' পরিচয় দিয়ে ব্যবসার কাগজপত্র দেখতে চায়। ট্রেড লাইসেন্স-সহ অন্যান্য নথিপত্র তিনি দেখান। কিন্তু সে সব ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বলে ওই সব বাতিল হয়ে গিয়েছে। নতুন করে সব নথি না করানোয় ১৪ হাজার ৬৫৫ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এটা তিন বছর মেয়াদ থাকবে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে বেরনোর সময় ফ্রিজে একটা কাপে কয়েন রাখুন, চমকপ্রদ উপকার পাবেন!
এই টাকা না দিলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। পুলিশও গ্রেফতার করবে। দিলীপবাবু বলেন, 'আমি ভয় পেয়ে যাই। জানাই এত টাকা নেই। ৭ হাজার টাকা আছে।' সেটাই দিতে বলে ওই দুষ্কৃতী। এর পর ওই ব্যক্তি পকেট থেকে একটা বিলবই বের করে। তাতে ব্যবসায়ীর নাম, ঠিকানা, জরিমানার অর্থ সহ অনেক কিছু লেখে। সইও করায় দিলীপবাবুকে দিয়ে। তার পর তাঁকে জানায়, বাকি টাকা বুধবার পুরসভায় গিয়ে জমা দিতে হবে। এর পর দিলীপবাবুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ও বিল ধরিয়ে চলে যায় ওই সে। ইংরেজিতে লেখা ওই বিল দেখে দিলীপবাবু বুঝতেও পারেননি তাতে কী লেখা রয়েছে।
আরও পড়ুন: যৌনমিলনের কথা শুনলেই ভয় পান? কেন এমন হয় জানুন
দিলীপবাবু বুধবার পুরসভায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন। পুরসভার বিল বলে যেটা তাঁকে দেওয়া হয়েছে সেটা আসলে রফতানির ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের শংসাপত্র ও আদায়ের নথি। এরপর দিলীপবাবু বর্ধমান থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। কয়েকবছর আগেও শহরে গয়না ব্যবসায়ীদের অভিনব প্রতারণার শিকার হতে হয়েছে। কখনও কাস্টমস অফিসার পরিচয় ব্যবসায়ীদের গয়নার ব্যাগ পরীক্ষার নাম করে গয়না হাতিয়ে চম্পট দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আবার দোকানে গয়না দেখার অছিলায় গয়না হাতানোর ঘটনাও ঘটেছে। এবার পুরসভার অফিসার পরিচয় দিয়ে গয়না ব্যবসায়ীর টাকা হাতানোর ঘটনা ঘটল।