মোস্তফা কামাল শেখ এই বিষয়ে বলেন, হঠাৎ করেই একদিন আমার মুম্বাইয়ের বাড়িতে স্থানীয় কিছু পুলিশ এসে আমাকে নিয়ে যান। সমস্ত নথিপত্র দেখানোর পরেও বাংলাদেশি বলে আমাকে বিএসএফ এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। বিএসএফের হাতেও চরম মার খেতে হয়েছে বাংলাদেশের ঠিকানা না বলতে পারার কারণে। কিন্তু আমি তো বাংলাদেশীনা, ঠিকানা কীভাবে বলব? পরবর্তীতে আমাদের বিএসএফ ৩০০ টাকা করে দিয়ে বর্ডার পার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল।
advertisement
বিজিবির তরফ থেকে মোস্তফাকে আবার ভারতে পাঠালে উপযুক্ত নথি পেশ করার পর, বিএসএফ ওই পরিযায়ী শ্রমিককে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানার হাতে তুলে দেয়। সেখান থেকে এদিন মন্তেশ্বরে নিজের ঘরে ফিরেছেন পূর্ব বর্ধমানের মোস্তফা। অভিযোগ, ভারতের নাগরিক হওয়ার সমস্ত নথি ও প্রমাণপত্র থাকা সত্ত্বেও মুম্বাইয়ে মহারাষ্ট্র পুলিশ তাকে বাংলাদেশি বলে ধরে। এরপর বিএসএফ এর তরফ থেকেও নাকি ব্যাপক অত্যাচার করা হয় তাঁর উপর। তাকে মারধরও করা হয়েছে সেখানে। মোস্তফা এই বিষয়ে আরও বলেন, চরম ভয়ে ছিলাম। কী হবে না হবে কিছুই বুঝতে পারিনি। তবে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বাহিনী এবং মিডিয়া খুব সাহায্য করেছে। তারা অন্যদেশের লোক হয়েও মানুষের পরিচয় দিয়েছে। তবে ভারতীয় বিএসএফ যা অত্যাচার করেছে সেটা যেন আমার শত্রুর সঙ্গেও কখনও না হয়।
পরবর্তী সময়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের সহযোগিতায় ভারতে খবর পাঠানোর পরই পুলিশের সহযোগিতায় এদিন ভোরে বাড়ি ফেরেন পূর্ব বর্ধমানের মোস্তফা কামাল শেখ। মোস্তফার বাড়ির মানুষও অত্যন্ত চিন্তায় ছিলেন, কিন্তু এখন কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন। তবে মোস্তফার সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা তাঁর চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
—- বনোয়ারীলাল চৌধুরী