পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে প্রতি বছর উদ্ধারণপুরের উদ্ধারণ দত্তের আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যে এই মেলা বসে। ভাগীরথীতে উত্তরান্তির স্নানে পুণ্যলাভের আশায় বিবাহিত মহিলারা আসেন কেতুগ্রামের এই উদ্ধারণপুরে। অনেক গৃহবধূ স্বামী ও সংসারের মঙ্গল কামনায় গঙ্গায় স্নান সেরে নতুন শাঁখা পরেন। তাঁদের বিশ্বাস, আজকের দিনে যদি গঙ্গাদেবীকে শাঁখা, সিঁদুর ও ফুল দেওয়া হয়, তাহলে আজীবন সধবা হয়ে বেঁচে থাকা যাবে। তাই দূরদূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা এসে গঙ্গায় ফুলের ডালা ভাসিয়ে পুণ্যস্নান সারেন।
advertisement
আরও পড়ুন: যোশীমঠের অবস্থা হবে এ রাজ্যের রানিগঞ্জেও! মমতার আশঙ্কায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে আমজনতা
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফিবছর মাঘ মাসের শুরুর দিন থেকেই পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ২ ব্লকের সীতাহাটি পঞ্চায়েতের উদ্ধারণপুরে বৈষ্ণব সাধক উদ্ধারণ দত্তের আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যে মেলা বসে।
উদ্ধারণ দত্ত গৌরাঙ্গ ও নিত্যানন্দের দারু বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে সাধনা শুরু করেছিলেন। হুগলি নিবাসী উদ্ধারণ দত্ত নৈহাটি গ্রামের নৈরাজার দেওয়ান ছিলেন। নৈরাজার বংশ লোপ পেলে উদ্ধারণ দত্ত ধীরে ধীরে রাজকার্য পরিচালনায় দক্ষ হয়ে ওঠেন এবং রাজকার্য চালাতে শ্রীচৈতন্যদেবের পার্ষদ নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর সংস্পর্শে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: কে সেই প্রভাবশালী? কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতিতে বিরাট মোড়! কোমর বেঁধে নামল সিবিআই
তারপর তিনি তাঁর কাছেই বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত হন। এরপর তিনি নিত্যানন্দ ও শ্রীচৈতন্যেদের সঙ্গে শুরু করেন তীর্থ পরিক্রমা। পরিক্রমা শেষে নিজের গ্রামে ফিরে নিত্যানন্দ ও গৌরাঙ্গের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে মন্দির তৈরি করেন। ফি বছর পয়লা মাঘ উদ্ধারণপুর গ্রামে শ্রীচৈতন্যের পার্ষদ এবং দ্বাদশ গোপালের অন্যতম উদ্ধারণ দত্ত ঠাকুরের আবির্ভাব উৎসব পালন করা হয়।