১৩২৩ সালে স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেবী মূর্তিটি দামোদরের নদ থেকে উদ্ধার করেন সাধক কমলানন্দ পরিব্রাজক। সেই মুহূর্তে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই মন্দিরে। পূর্ব বর্ধমানের কাঞ্চননগরের কঙ্কালেশ্বরী মন্দির ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে নানা কাহিনি। কথিত আছে, সাধক কমলানন্দ পরিব্রাজক দেবীর স্বপ্নাদেশ পান। তিনি স্বপ্নে দেখেন যে দামোদরের তীরে দেবী রয়েছেন। সেই স্থানে পৌঁছে সাধক কমলানন্দ দেখেন ধোপারা একটি পাথরের উপর কাপড় ধুচ্ছেন। সেই পাথরটি উদ্ধার করেন তিনি এবং দেখেন সেই পাথরেই খোদাই করা ছিল দেবী মূর্তি।
advertisement
আরও পড়ুন : ফাঁকা বাড়ির সুযোগে প্রতিবেশীরা লুটে নিল সব, টাকা গয়না নিয়ে চম্পট! শেষে পুলিশের জালে ৩ অভিযুক্ত
পরে সেই দেবীমূর্তি নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করা হয় মন্দিরে। এখানে দেবী অষ্টভূজা, কঙ্কালসার রূপ। দেবী মূর্তিতে স্পষ্ট মানব শরীরের অস্থি, শিরা, ধমনী। তাই দেবী এখানে ‘কঙ্কালেশ্বরী কালী’ নামে পরিচিত। শায়িত শিবের নাভি থেকে উৎপত্তি হয়েছে দেবীর। শিবের নাভি থেকে বেরিয়েছে পদ্ম, সেই পদ্মের উপর বসে রয়েছেন দেবী। তাঁর চালচিত্রে রয়েছে হাতি। অনুমান করা হয়, এই দেবীমূর্তিটি সম্ভবত বৌদ্ধ বা পাল যুগের। মন্দিরে মূল মূর্তির পাশেই রয়েছে আরও একটি ছোট মূর্তি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মূল মূর্তিটি উদ্ধার হওয়ার কিছুদিন পরেই অন্য আরেকটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল ছোট মূর্তিটি। স্বপ্নদেশ পেয়ে ছোট মূর্তিটিকেও নিয়ে আসা হয় এই মন্দিরে। দেবী এখানে চামুণ্ডা মতে পূজিত হন। সারা বছরই হয় নিত্য পুজো। দীপান্বিতা কালীপুজোর সময় বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। সেই সময় প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি ভক্তের সমাগম ঘটে এই মন্দিরে। কালীপুজোর দুদিন ধরে চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, থাকে ভোগের ব্যবস্থাও। এছাড়াও সারা বছরই প্রতিদিনই দুপুরে মন্দিরে ১০ টাকার বিনিময়ে অন্ন ভোগ এবং রাত্রে পাঁচ টাকার বিনিময়ে রুটি খাওয়ানোর ব্যবস্থা আছে।