রাজ্য কার্যালয়ের সম্পাদক প্রণয় রায়ের স্বাক্ষর করা শ্যামল রায়কে পাঠানো চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘‘পত্র দ্বারা আপনাকে অবগত করা হচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সুপারিশ ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশ অনুযায়ী আপনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।’’ বলা বাহুল্য, দলীয় নেতৃত্বকে দলীয় পদ ছাড়ার কথা জানান বর্ধমানের বিজেপি নেতা শ্যামল রায়।
advertisement
আরও পড়ুন- মালদহের কালিয়াচকে উদ্ধার প্রচুর পরিমাণে ব্রাউন সুগার এবং নিষিদ্ধ কফ সিরাপ !
বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি ছিলেন তিনি। পদ ছাড়ার পাশাপাশি দল ছাড়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। লিখিতভাবে পদ ও দল ছাড়ার কথা দলীয় নেতৃত্বকে জানান শ্যামল রায় । দলে সম্মান বা গুরুত্ব না পাওয়ার জন্যই তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন শ্যামলবাবু।
তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘সিপিআইএমকে হঠাতে বিজেপি করতে এসেছিলাম। এখন সেই সিপিআইএম নেতারাই জার্সি পাল্টে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে আছে। এতে বিজেপির শ্রীবৃদ্ধি হতে পারে না। যখন চার শতাংশ ভোট ছিল তখন এই দল করতে এসেছিলাম। এখন যখন ৩৮ শতাংশ ভোট তখন দল মনে করছে আমরা ব্রাত্য। জেলা সভাপতি অযোগ্য। তিনি দল চালাতে পারছেন না। তাই এই টিমে থাকার প্রয়োজন বোধ করছি না।’’
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই এবার বিজেপির বর্ধমান জেলা কমিটির মধ্যেই শুরু হল মতবিরোধ। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা ও জল্পনা। বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা শ্যামল রায় দলীয় পদ ছাড়ার কারণ হিসেবে বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা অযোগ্য ও সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংগঠনিক জেলা সভাপতির দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করছেন বলে আগেই চিঠি দেন জেলা সভাপতিকে। আর এর পর পরই বর্ধমানের বিজেপি নেতা শ্যামল রায়কে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল বঙ্গ পদ্ম শিবির। এদিকে রাজ্য বিজেপির তরফে বহিষ্কারের পরপরই বুধবার শ্যামল রায় ফেসবুক পোস্টে লেখেন, " TODAY STATE BJP DEFEATED। I will tell you the rest tomorrow."