কোনও গাড়ি বা বাহন নয়, দেবীকে কাঁধে তুলে নেন ভক্তরা, আর শুরু হয় এক অনন্য দৌড়। পাশের গ্রাম আমডাঙ্গা ঘুরে মন্দির সংলগ্ন পুকুরে নিরঞ্জন হয় প্রতিমা। বোলতলা কালীর বিসর্জনের মুহূর্তে মুস্থূলী গ্রাম যেন অন্য জগতের রূপ নেয়। দেবীর সঙ্গে দৌড়ায় সারি সারি মশালের আলো। প্রতিধ্বনিত হয় ‘জয় মা কালী’ ধ্বনি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মা বোলতলা কালীকে হেঁটে নিয়ে যাওয়া যায় না, তাঁকে কাঁধে তুলে দৌড়ে নিয়ে যাওয়াই এই পুজোর প্রাচীন নিয়ম।
advertisement
জানা যায়, প্রায় তিনশো বছর আগে এক তন্ত্রসাধক নিজের হাতে নদীর ধারে বকুলতলায় দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন। দেবী প্রথমে ছোট মূর্তিতে পূজিতা হতেন। সাধকের প্রয়াণের পর বোলতলা কালী নামে পরিচিতি লাভ করে গ্রামদেবী হয়ে ওঠেন মা। প্রতি বছর কালীপুজোর সময় বিশেষ করে মায়ের বিসর্জনের অনন্য দৃশ্য দেখতে মুস্থূলী নেমে আসে জনসমুদ্র। এলাকার ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ভিড়ে উপচে পড়ে গ্রাম। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কাটোয়া থানার পুলিশ। প্রশাসনের তরফ থেকে নজরদারি চালানো হয়।