TRENDING:

Kali Puja 2025: মা কালীর চার বোন একই গ্রামে পূজিত হন, ৪০০ বছরের ঐতিহ্য মেনে অটুট পুজোর রীতিনীতি, জানুন কালীগ্রামের 'কালী কথা'

Last Updated:

Amadpur Kali Gram: পূর্ব বর্ধমানের মেমারির আমাদপুরে ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বড়মা, মেজমা, সেজমা, ছোটমা নামে দেবীর পুজো হয়ে আসছে। একশোর বেশি কালী পুজো হয় এই গ্রামে। সিদ্ধেশ্বরী, বুড়িমা, ডাকাত কালী, ক্ষ্যাপা মা, আনন্দময়ী মা ইত্যাদি ভিন্ন নামে মা কালী এখানে পূজিত হন। এই জন্য এই গ্রাম মানুষের কাছে 'কালীগ্রাম' নামেই পরিচিত।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মেমারি, পূর্ব বর্ধমান, শরদিন্দু ঘোষ: একশোর বেশি কালী পুজো হয় গ্রামে। তাই ‘কালীগ্রাম’ নামেই পরিচিত এই গ্রাম। এখানে কালী ঠাকুরেরা চার বোন। তাঁরা থাকেন বর্ধমানের এক গ্রামে।
আমাদপুরের কালীগ্রাম
আমাদপুরের কালীগ্রাম
advertisement

পূর্ব বর্ধমানের মেমারির আমাদপুরে ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বড়মা, মেজমা, সেজমা, ছোটমা নামে দেবীর পুজো হয়ে আসছে। গ্রামে ঢুকলে প্রথমেই প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার বড় মায়ের দর্শন পাওয়া যায়। আরও কিছুটা এগোলেই রয়েছেন প্রায় সম উচ্চতার মেজমা। তার আশেপাশেই রয়েছেন সেজমা ও ছোট মায়ের মন্দির।

গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে পূজিত হন দেবী কালী। ১০০ টিরও বেশি কালীপুজো হয়ে গ্রাম জুড়ে। সিদ্ধেশ্বরী, বুড়িমা, ডাকাত কালী, ক্ষ্যাপা মা, আনন্দময়ী মা ইত্যাদি ভিন্ন নামে মা কালী এখানে পূজিত হন। এই জন্য এই গ্রাম মানুষের কাছে ‘কালীগ্রাম’ নামেই পরিচিত।

advertisement

আরও পড়ুনঃ ‘জয় মা কালী’! অন্ধকারের বুক চিরে মশালের আলোয় দেবীকে কাঁধে নিয়ে ভক্তদের অনন্য দৌড়, কাটোয়ার বোলতলা কালী বিসর্জনে জনসমুদ্র

তাই দুর্গাপুজো নয়, কালীপুজোকেই কেন্দ্র করে উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম। আর সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ হল ভাসানের শোভাযাত্রা ঘিরে। পুজো ঘিরে শোনা যায় নানা কাহিনি। বাংলার এই গ্রামে দুর্গা নয়, কালীপুজোই আসল। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ কালীপুজোর ভাসান দেখতে হাজির হন মেমারির আমাদপুরে।

advertisement

মেমারির আমাদপুর এক প্রাচীন জনপথ। কথিত আছে, পূর্বে এখান দিয়েই প্রবাহিত ছিল বেহুলা নদী। বর্তমানে তা মজে গিয়ে খালের আকার নিয়েছে। এক সময়ে বাণিজ্য তরীও নাকি যাতায়াত করত এখান থেকে। সেই সময়ে বণিকরা দস্যুদের কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়াতেন। বেহুলা নদীর ধারে ছিল মহাশ্মশান। সেখানে এক সাধু থাকতেন। সেই সাধু শ্মশানে কালীসাধনা করতেন। বণিকরা দস্যুদের হাত থেকে বাঁচতে এই শ্মশানে কালী মায়ের পুজো দিতেন। শোনা যায়, এরপর থেকেই তাঁরা দস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পেতে শুরু করেন। তখন থেকেই এই দেবীর প্রতি বিশ্বাস জন্মায়। মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পরে দিকে দিকে।

advertisement

আরও পড়ুনঃ কালীপুজোর রাতে কুসংস্কারের বলি! হাড়হিম করা কাণ্ড পুরুলিয়ার গ্রামে, আদিবাসী মহিলার সঙ্গে পরিবার যা করেছে জানলে শিউরে উঠবেন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

বিসর্জনের সময়ে বড়, মেজ, সেজ আর ছোটমাকে চতুর্দোলায় করে শোভাযাত্রা বের হয়। সারা রাত গোটা গ্রাম ঘোরানোর পরে ভোর বেলায় হয় বিসর্জন। এই দেবীরা ছাড়াও গ্রামে আরও যত দেবী রয়েছেন, সকলকেই একসঙ্গে চতুর্দোলা করে একটির পর আর একটি – এইভাবে লাইন দিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। আশেপাশের জেলা থেকে মানুষজন এসে ভিড় জমান বিসর্জন দেখতে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Kali Puja 2025: মা কালীর চার বোন একই গ্রামে পূজিত হন, ৪০০ বছরের ঐতিহ্য মেনে অটুট পুজোর রীতিনীতি, জানুন কালীগ্রামের 'কালী কথা'
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল