একটানা তার কান্না শুনে টনক নড়ে পড়শিদের। তাঁরাই উদ্যোগ নেন বিড়ালটিকে উদ্ধার করার। দুধ ভাত, মাছ ভাজার লোভ দেখিয়েও তাকে নামানো যায়নি। কারণ, সেখান থেকে নামার পথই পাচ্ছিল না বাঘের মাসি। উচ্চতার কারণে আবার লাফিয়ে উপর দিকে ছাদেও উঠতে পারছিল না সে। আবার নীচে লাফ দেওয়া সাহস সঞ্চয় করতে পারেনি বিড়ালটি। উপায় না দেখে একটানা কান্নাই শ্রেয় বোধ করেছিল সে। কাজ হল তাতেই। টান টান উত্তেজনার শেষে তাকে উদ্ধার করল দমকল দফতরের কর্মীরা।
advertisement
সোমবার বিকেলে এমনই ঘটনার সাক্ষী রইলেন বর্ধমান শহরের নতুনপল্লী এলাকার বাসিন্দারা। রবিবার রাতে ইঁদুর ধরতেই হোক বা অন্য কোনও কারণে সে সানশেডে চড়ে বসে। নামার পর সে বোঝে এখান থেকে বের হওয়া সহজ নয়। উপর নিচ দেখে আর কিছু করার নেই বুঝতে পেয়ে সে কান্নাকাটি শুরু করে।
এলাকার বাসিন্দারা বললেন, রবিবার সকাল থেকে একটানা বিড়ালটা কেঁদেই চলেছিল। আশপাশে তেমন গাছ নেই। তাই ছাদ থেকেই সে নেমেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তারপর আর সে উঠতে পারেনি। প্রথমে আমরা খোঁজ করছিলাম কোথা থেকে বিড়ালের কান্না আসছে। একটানা ডাক শুনে খোঁজাখুঁজির পর দেখা যায় একটা সানশেডে সে আটকে রয়েছে। তখন বৃষ্টিও পড়ছিল। তার মধ্যেই আটকে পড়ে সে এবং কাঁদতে থাকে।
আরও পড়ুন- সঙ্গীর নাক ডাকার চোটে ঘুমের দফারফা? এই পাঁচ উপায় মেনে চললে আর সমস্যা হবে না...
উপায় না দেখে বাসিন্দারা দমকল বিভাগে খবর দেন। সোমবার বিকেলে সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে আসেন দমকল কর্মীরা। কোমরে দড়ি বেঁধে ছাদ থেকে এক দমকল কর্মীকে সানশেডে নামানো হয়। তিনি বিড়ালটিকে ধরেও ফেলেন। কিন্তু ভয় পেয়ে সেই বিড়াল হাত ফসকে লাফ মারে। ট্রাপিজের খেলার মতো কেবল টিভির তার ধরে ঝুলতে থাকে সে। এরপর তলায় চট ধরেন দমকল কর্মীরা। উপর থেকে তারে ঝাঁকুনি দেওয়া হয়। ব্যালান্স হারিয়ে নীচে চটের উপর পরে বিড়ালটি।
আরও পড়ুন- 'দিল্লি হবে বাংলার ঘাঁটি', দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে 'ছড়া' কাটলেন মদন মিত্র....
তবে সেখান থেকে নেমেই সে লেজ গুটিয়ে পালাতে সময় নেয়নি। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে গা ঝাড়া দিয়ে পিছন ঘুরে দমকল কর্মীদের দিকে ম্যাঁও বলে ডেকে ওঠে সে। যেন কৃতজ্ঞতা জানায় সে নিজের ভঙ্গিতে। আর তার পরেই আবার কোনও মাছ বা দুধের সন্ধানে একটি বাড়িতে গা ঢাকা দেয় মিষ্টি মার্জার। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন বাসিন্দারা।
শরদিন্দু ঘোষ