হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিগত এক মাসে অন্তত ১২০০ শিশু ভর্তি হয়েছে শিশু বিভাগে। তাদের মধ্যে ৬০০ জন শিশু ছয় মাসের নীচের বয়সী। বিগত এক মাসে নয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বয়স ছয় মাসের নীচে। প্রতিদিনই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গড়ে ৪০ টি শিশু ভর্তি হচ্ছে। তবে চিকিৎসকদের আশা শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগের প্রবণতা অনেকটা কমবে। ইতিমধ্যেই জ্বর, শ্বাসকষ্টের রোগের জন্য আলাদা করে ৮৫ টি করে বেড থাকলেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও একটি ২০ শয্যার 'এ আর আই' (Acute Respiratory infection) ওয়ার্ড রেডি করে রাখা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে হাহাকার! উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বাড়ছে শিশু মৃত্যু, উদ্বেগে অভিভাবকরা
বেশ কয়েকমাস ধরেই শিশুদের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বর্ধমান হাসপাতালেও প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশু ভর্তির সংখ্যা। ১২০ শয্যার জেনারেল ওয়ার্ড ছাড়াও, হাসপাতালে খোলা হয়েছে ৮৫ শয্যার এ আর আই ওয়ার্ড। শুক্রবার পর্যন্ত হাসপাতালে শিশু ভর্তির সংখ্যা প্রায় ১৬০৷ যার মধ্যে প্রায় ১০০ জন ভর্তি এই রোগে। ১০০ জনের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বয়স ছয় মাসের নীচে৷ হাসপাতালের শিশু বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, জ্বর-শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে সবথেকে সমস্যায় সদ্যোজাত শিশুরা। যে নয়জন মারা গেছে তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ছয়মাসের নীচে।
শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কৌস্তুভ নায়েক জানান, সদ্যোজাত শিশুরা সাধারণ ঠান্ডা লাগার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্ট শুরু হচ্ছে এবং জটিল আকার ধারণ করছে। যদিও পরিস্থিতি হাতের নাগালেই আছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, বিগত এক মাসে প্রায় ১২০০ জন শিশু ভর্তি হয়েছিল। নয় জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। ওষুধ অক্সিজেন, বেড পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। আরও একটি ওয়ার্ড খোলা হচ্ছে। সমস্যা হবে না। তবে বাচ্চা না খেলে, মায়ের বুকের দুধ ঠিকমতো টানতে না পাড়লে, ঝিমিয়ে পড়লে, শ্বাসকষ্ট, বমি হচ্ছে, খেতে পারছে না-র মতো সমস্যা হলে, সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন বর্ধমান মেডিক্যালের শিশু বিশেষজ্ঞ কৌস্তুভ নায়েক।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠী থেকে দশমী, ৫ দিনে ৮৯ জনের মৃত্যু! উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে উঠল গুরুতর 'এই' অভিযোগ...
