শামসুল ওরফে খুদের বাড়িতেই বাজির কারখানা৷ এই বাড়ির কারখানাতেই ঘটে বিস্ফোরণ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে ঘটনাস্থলে থেকে সামান্য দূরে বাঁশ বাগানেও বাজি তৈরির মশলা পাওয়া গিয়েছে। সেখানে পলিথিনের ছাউনি খাটিয়ে চলত বাজি তৈরি৷ সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বারুদ, স্টোনচিপস্৷ প্লাস্টিকের বস্তায় ভর্তি বাজি৷ খানিক দূরে একটি পরিত্যক্ত ইঁটভাঁটাতেও পাওয়া গিয়েছে বাজি তৈরির সরঞ্জাম৷ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একাধিক বাড়ি৷
advertisement
তবে এই এলাকায় ঠিক এক বছর আগেও বিস্ফোরণ হয়েছিল৷ এর আগেও এলাকায় বেআইনি বাজি তৈরির কারণে রেড করা হয়েছিল৷ আগের বারের বিস্ফোণের পরেও কেন সতর্ক হয়নি প্রশাসন? প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷
বিস্ফোরণের পর পরই স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছিলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় এভাবে বাজি তৈরির কারখানা রমরমিয়ে চলে৷ পুলিশ-প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় নেতা-বিধায়ক সবই নাকি জানতেন, কিন্তু এগরা কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়েও নাকি কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি৷
বিস্ফোরণে আহতদের বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিধ্বংসী এই বিস্ফোরণে আহত শিশুরাও৷ হাসপাতালে ভর্তি ৩ শিশু-সহ একাধিক ব্যক্তি বলে দাবি স্থানীয়দের৷