আনার পর চার্জশিটে লেখা থাকে অসুস্থতার কারণে প্রথমে সেই অভিযুক্তকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ এবং পরবর্তীতে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যার কারণে তাঁকে পেশ করতে পারেনি মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। কিন্তু এ বিষয়ে কোর্টকে জানানোর নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি এ ক্ষেত্রে। ১৭ তারিখ প্রথমে তাঁকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পেশ করা হয় এবং সেই কোর্ট থেকে মামলাটিকে স্থানান্তর করা হয় এসিজিএম কোর্টে। রাত আটটা থেকে শুরু হয় এই মামলার শুনানি। দীর্ঘ সময় ধরে চলে এই মামলার শুনানি ও রায়দানের কাজ। অবশেষে রাত তিনটের সময় এসিজিএম বারাসত বিচারপতি এই মামলায় অভিযুক্তকে ১০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন : ‘এই’ টক দই খেলেই হু হু করে বাড়বে খারাপ কোলেস্টেরল! কীভাবে কোন দই খাবেন কোলেস্টেরল রোগীরা? জানুন
এই বিষয় নিয়ে বারাসত কোর্টের আইনজীবীদের অভিযোগ মধ্যমগ্রাম থানার গাফিলতির কারণেই রাত তিনটে পর্যন্ত বারাসত কোর্ট এসিজিএম বিচারককে রাত জেগে থেকে এই মামলার শুনানি করতে হল। বারাসত আদালতের আইনজীবীদের আরও অভিযোগ, যদি মধ্যমগ্রাম থানা সঠিকভাবে মামলার তদন্ত করে সঠিক সময়ে আসামিকে কোর্টে আনত, তাহলে রাত তিনটে পর্যন্ত বারাসত কোর্ট খোলা রেখে বিচারককে থাকতে হত না। মধ্যমগ্রাম থানার গাফিলতিতেই মামলার রায়দান মধ্যরাতে করা হল বলেই অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে আগামী দিনে পুলিশ আধিকারিকদের আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বারাসত কোর্টের আইনজীবীরা।