কিন্তু, লোকালয়ের মাঝে, ঘিঞ্জি এলাকায়, গৃহস্থ বাড়িতে, যেখানে তিন তিনটি পরিবারের বাসত, সেখানে কী করে এভাবে বাজি তৈরি কারখানা চলছিল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন৷ বিস্ফোরণের পর পরই স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছিলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় এভাবে বাজি তৈরির কারখানা রমরমিয়ে চলে৷ পুলিশ-প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় নেতা-বিধায়ক সবই নাকি জানতেন, কিন্তু এগরা কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়েও নাকি কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি৷
advertisement
এদিন,টেলিভিশন ক্যামেরার সামনেই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশকে দাবি করতে শোনা যায়, এলাকার বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এই সমস্ত বেআইনি কারখানা সম্পর্কে জানতেন৷ কিন্তু, কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি৷
এদিন বারাসতের নীলগঞ্জের বিস্ফোরণের পরে রথীন ঘোষের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘স্টক থেকে আগুন লেগেছে বলে শুনলাম৷ ব্যক্তিগত ভাবে দেখিনি৷ সূত্র মারফত যা জানতে পারলাম সেটাই বললাম৷’’
মন্ত্রীর দাবি, রবিবার সকালে যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেখানে বাজি তৈরি হত না, বাজি মজুত করা হতো৷ তবে, পাশাপাশি, তিনি এ-ও জানান, ওই বাড়িতে যা হত, তা বেআইনি৷
আরও দেখুন: এগরার পরে বারাসত! বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর
রথীন বাবু বলেন, ‘‘যাই হোক না কেন, সেটা বেআইনি৷ এটা হওয়ার কথা নয়, কিন্তু ব্যাপারটা হচ্ছে আমার কাছ পর্যন্ত কোনওদিন খবর এই মোছপোল সম্পর্কে (বারাসতের বিস্ফোরণ স্থলের থানা এলাকা) এসে পৌঁছয়নি৷ আমি জানতাম নারায়ণপুরে বাজি তৈরি হয়৷ আরও কোনও জায়গায় তৈরি হয় বলে আমার জানা ছিল না৷’’
এরপরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানান মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক৷ বললেন, ‘‘যাব তো নিশ্চই, আমার এলাকা আমি যাব না!’’