রবিবার বারাসাতের নীলগঞ্জে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। এতেই বঙ্গ রাজনীতিতে জোর কম্পন। সোমবার ঘটনাস্থলে যান তিন বিরোধী দলের তিন মুখ। শুভেন্দু অধিকারী, মহম্মদ সেলিম, অধীর চৌধুরী। সোমবার দুপুরে নীলগঞ্জের মোচপোলে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘুরে দেখেন এলাকা। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়কদের এক প্রতিনিধিদলও। নীলগঞ্জে আরডিএক্স! অন্তত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি তেমনটাই। বিরোধী দলনেতা এদিনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব। তাঁর কথায়, ‘‘অনলি সলিউশন এনআইএ। হিউজ এক্সপ্লোশন। হাইলি এক্সপ্লোসিভ ইউজড।’’
advertisement
আরও পড়ুন– আইএএস নিয়াজ খানের নিশানায় এবার কপিল শর্মা; স্ক্রিনশট শেয়ার করে দাগলেন তোপ!
মোচপোলে গিয়ে সুর চড়ান অধীর চৌধুরী, মহম্মদ সেলিমও। সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘সরকারের শীর্ষকর্তা থেকে পুলিশ সবাই জানত যে এখানে বেআইনি কারবার চলছে। গোটা রাজ্যটাই এখন বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে।’’ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একই সুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গলাতেও। প্রসঙ্গত, সোমবার নীলগঞ্জের বিস্ফোরণের কম্পন অনুভূত হয় রাজ্য বিধানসভাতেও। রবিবারের বিস্ফোরণ নিয়ে এদিন বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করে দেন অধ্যক্ষ। প্রতিবাদে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে ব্যাপক হই-হট্টগোল শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। তারপর তাঁরা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর নেতৃত্বে কার্যত ওয়াকআউট করে বাইরে বেরিয়ে এসে তুমুল বিক্ষোভ দেখান।
শুভেন্দু-সহ সমস্ত বিধায়কদের একটাই দাবি, ‘‘রাজ্য পুলিশের তদন্তে তাঁদের আস্থা নেই। ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করুক এনআইএ।’’ ইতিমধ্যেই এনআইএর এক তদন্তকারী দল সোমবারই ঘটনাস্থল পৌঁছয়। রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদের নির্দেশে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে দত্তপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবং নীলগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির অফিসারকেও। বিস্ফোরণ কাণ্ডে এখন রাজনীতির হাওয়াও গরম। টগবগ করে ফুটছে নীলগঞ্জ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। যা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতিও।