দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, বাঁশবাগানের মধ্যে তাঁবু খাটিয়ে চলতো বাজি তৈরি আর সেই বাজি নিয়ে এসে রাখা হত জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেরামত আলির বাড়িতে। এ দিন সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে। এরপরই ঘটনাস্থলে আসেন পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প সমিতির সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না-সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।এ দিন ঘটনাস্থলে এসে ঘুরে দেখেন তারাও।
advertisement
তবে দত্তপুকুর এলাকায় যে ধরনের বাজি তৈরি করা হত তা নিষিদ্ধ বলেই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প সমিতির সদস্যরা। তাহলে প্রশ্ন উঠছে কীভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এতদিন ধরে চলছিল বাজি তৈরি? বারংবার স্থানীয় মানুষজন প্রশাসনের নজরে বিষয়টি নিয়ে আসলেও কেন এতদিন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তা নিয়েও সুর চড়িয়েছেন এলাকাবাসী। এখনও এলাকায় বহু বেআইনি বাজি তৈরির কারখানা রয়েছে বলেও স্থানীয়রা জানাচ্ছেন। যে ধরনের রাসায়নিকের খোঁজ মিলেছে এলাকায়, সেই ধরনের রাসায়নিকের প্রয়োজনীয়তা বাজি তৈরির ক্ষেত্রে থাকে না বলেও জানান এই বিশেষজ্ঞ।
আরও পড়ুনঃ দত্তপুকুর বিস্ফোরণে মুর্শিদাবাদ যোগ! সুতির একই পরিবারের ৫ জনের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার, থমথমে গ্রাম
এ ক্ষেত্রে রাসায়নিক দিয়ে বাজি কীভাবে তৈরি হল? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প সমিতির সম্পাদক। তবে বাজি শিল্প সমিতির সদস্যরা চাইছেন কারও ওপর দোষ না চাপিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা টেবিলে বসতে। কীভাবে সঠিক পদ্ধতি মেনে বাজি শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার রূপরেখা তৈরি করে এগরা বিস্ফোরণের পর রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল বলে জানান শুভঙ্কর মান্না।
আরও পড়ুনঃ নিয়ম করে মাত্র ৭ দিন! হুহু করে ওজন কমাবেই মৌরি জল! শুধু জানুন বানানো আর খাওয়ার পদ্ধতি
কিন্তু তার পরবর্তীতে আর কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ। তার মধ্যেই আবারও ঘটে গেল দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। মৃত্যু হল বহু মানুষের, আদৌ কি হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের! তবে বাজি শিল্প সমিতির সদস্যরা চাইছেন শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখে সঠিক পদ্ধতি মেনে নিরাপত্তা বজায় রেখে চলুক বাজি তৈরি। বিশেষ প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হোক। অন্যান্য সংগঠনকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার ও বার্তা দেওয়া হয়। তবে দত্তপুকুরে যে ধরনের বাজি তৈরি হতো তা বেআইনি, সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের উচিত তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া এমনটাই মনে করছেন বাজি শিল্পসমিতির সম্পাদক।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় জড়িত থাকায় ইতিমধ্যেই শফিক আলি নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলছেন এত বড় কাণ্ড ঘটে গেল, মৃত্যু হল এত মানুষের আর সেই ঘটনায় অভিযুক্ত একজন? ঘটনাস্থলের পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া দেহটি বিস্ফোরণে মৃত ব্যক্তির কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে, এমনই অনুমান।
Rudra Narayan Roy