দত্তপুকুর বাজি বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর এদিন ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা ভাঙচুর চালায় বন্ধ ইটভাটার আড়ালে চলা এই বাজি কারখানা ও রাসায়নিক ল্যাবে। এখনও বাজি কারখানার ভিতর পড়ে রয়েছে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সহ কেমিক্যাল বাজি ও বারুদ। রাসায়নিক ল্যাবে কেমিক্যাল দেখে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলছেন এখানে বাজি তৈরির আড়ালে বিস্ফোরক ও বোমা তৈরি হত।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘লোকসভার আগে অভিষেককে নাকি গ্রেফতার করা হবে’, গোপন ‘মেসেজের’ কথা তুলে আক্রমণ মমতার
দত্তপুকুর থানা মোচপোল এলাকার পাশের গ্রাম বেরু নানপুকুরিয়া। গ্রামের সরু রাস্তা দিয়ে কিছুটা এগোলেই পড়বে পরিত্যক্ত একটি ইটভাটা। চুল্লি রয়েছে, কিন্তু ইটভাটা বন্ধ। তার ভিতরের জমিতেই চলছিল বাজি কারখানা। ভাটায় ঢুকলেই সামনে প্লাস্টিকের ছাউনি আর দরমার বেড়া দিয়ে তৈরি ঘর, সামনেই বিরাট চাতাল। তার উপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে বাজি তৈরির সামগ্রী। মেঝেয় ইট বিছানো। সেই মেঝেতেই চারটি কাঠের টেবিলের উপরে কাচের বিকার, নীচে প্লাস্টিকের বড় বড় ড্রাম। রাসায়নিক মেশানোর জন্যই এই বিকারগুলো ব্যবহার করা হত। বাঁদিকে আরও একটা ঘরের ভিতরে ৪-৫টি বাজি তৈরির মেশিন।
আরও পড়ুন: ইডির ডাক ‘অতীত’, দলের মঞ্চে আত্মবিশ্বাসী সায়নী ঘোষ! চলবেন অভিষেকের নির্দেশেই
এভাবেই গত কয়েক বছর ধরে রমরমিয়ে গ্রামের ভিতরে চালাতেন অবৈধ বাজির কারখানা। স্থানীয়রা জানান, বছর দশেক ধরে চলছে এই বাজির কারখানা। দত্তপুকুর থানার পুলিশ এবং শাসকদলের মদতেই এই বেআইনি কারখানা চলত বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের দাবি। রাসায়নিক ল্যাব সহ ইটভাটার আড়ালে চলা বাজি কারখানার হদিশ এভাবে মেলায় বড় কোনও ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে সুর জড়িয়েছেন বিরোধীরা। তবে শাসকদল অবশ্য সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিরোধীদের উপরেই আঙুল তুলছেন। তবে দু’পক্ষই এখন চাইছেন দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রয়োজনে হোক এনআইএ তদন্ত।
—– Rudra Narayan Roy