কেরামত আলির প্রথম পক্ষের স্ত্রী রুবি বিবি। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর এক ছেলে ও এক মেয়ে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিয়ে করেন কেরামত। তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ কয়েক বছর। স্বামীর সঙ্গে সেভাবে সম্পর্ক না থাকলেও, ছেলে রবিউলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কেরামতের। মা-র থেকে হয়তো বাবাকে একটু বেশিই ভালবাসতেন রবিউল। তাই বাবা ডাকলেই ছুটে যেতেন, নানা বাধা-নিষেধ পেরিয়ে।
advertisement
এ দিনও বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল রবিউলের, তবে সকালে বাবা কেরামত আলি ফোন করে বলেন কারখানায় ঘুরে যেতে। সেই মতো সকাল আট’টার কিছু পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কেরামত আলির বাজির কারখানায় যায় ছেলে রবিউল। সেই শেষ দেখা মা রুবি বিবির সঙ্গে। দশ’টা নাগাদ বিস্ফোরণের তীব্র শব্দ গিয়ে পৌঁছয় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কেরামত আলির প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বাড়িতে। এরপর দুর্ঘটনার কথা শুনে ছুটে এসে ছেলেকে দেখে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন মা। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকের শত চেষ্টার পরও বাঁচানো যায়নি ২১ বছরের রবিউলকে। বাবা কেরামত আলির সঙ্গেই প্রাণ গেল ছেলে রবিউল আলিরও।
আরও পড়ুনঃ আবহাওয়ার বিরাট রদবদলের ইঙ্গিত! জেলায় জেলায় কী হতে চলেছে ২৪ ঘণ্টায়, রইল পূর্বাভাস
মা রুবি বিবির পাশাপাশি দাদাকে হারিয়ে চোখের জল যেন বাঁধ মানছে না বোনের। দাদা রবিউলের নিয়ে আসা চকলেট এখনও পড়ে রয়েছে ফ্রিজে। কলেজ পড়ুয়া রবিউলের স্বপ্ন ছিল কলেজ পাশ করে কম্পিউটার শিখে চাকরির। বাড়ি তৈরিরও ইচ্ছেও ছিল ছেলে রবিউলোর, মাকে বলত সেই কথাও। এখন ছেলে চলে যাওয়ায় কীভাবে চলবে সংসার? কাকে অবলম্বন করে বাঁচবেন মা ও বোন? তরতাজা প্রাণ চলে যাওয়ায় এখন রীতিমতো শোকে পাথর গোটা পরিবার। দত্তপুকুরের বাজি বিস্ফোরণ কেড়ে নিল বহু পরিবারের চিরদিনের সুখ শান্তি।
Rudra Narayan Roy