প্রায় ৭০০ বছর আগে কেতুগ্রামের বহুলা পীঠ থেকে ভৃগুরাম এসেছিলেন এই এলাকায়। গ্রামে সকলের কাছে এই ভৃগুরামের পরিচয় ছিল বুড়োগোঁসাই নামে। বর্তমানে ওই ভৃগুরামের বংশধররাই এই পুজো করে আসছেন । পুজোর বিশেষ কিছু নিয়ম রীতিও রয়েছে। এই প্রসঙ্গে ভট্টাচার্য্য পরিবারের তরফ থেকে শিবনারায়ণ ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, আমাদের ঘট অন্য জায়গা থেকে আনা হয় না। ঘট এখানেই তৈরি করা হয়। সেই ঘট পুজোর পরে সারা বছর পুজো করা হয় । মায়ের ভোগে মাছ দেওয়া হয়। তান্ত্রিক মতে হয় মায়ের পুজো । পরিবারের বয়স্ক মানুষরা আগে পুজো করেন তারপর অন্যান্যরা করতে পারেন । এই রকম ছোট ছোট আরও বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের মরশুমে ঘুরে আসুন কলকাতার কাছেই ‘চুপি পাখিরালয়’
বড়বেলুনের মা বড়মায়ের উচ্চতা করা হয়েছে ২১ ফুট । এমনকি মায়ের যে জিভ রয়েছে সেটা তৈরি হয়েছে আস্ত একটা কুলো দিয়ে । বাঁশের ভারা লাগিয়ে ঠাকুর তৈরি করা হয়। এছাড়াও চক্ষুদান, অলংকার পরানো সবই হয় বাঁশের ভারার উপর চেপেই। বড়বেলুনের মা বড়মায়ের এই পুজো দেখতে জেলা ছাড়িয়ে ভিন রাজ্য থেকেও অনেকে আসেন । পুজোর দিন রাতে মন্দিরের সামনে পা ফেলার জায়গা থাকেনা ।
আরও পড়ুন: এ এক আজব গ্রাম! বিয়ে হচ্ছে না কারও! কারণ জানলে আকাশ থেকে পড়বেন
যত রাত গভীর হয় ততই ভিড় বাড়তে থাকে মন্দির প্রাঙ্গণে। একদম রাত থেকে শুরু হয়ে সূর্যোদয়ের আগে অবধি চলে পুজো। আর এই পুজোকে কেন্দ্র করেই আনন্দে মেতে ওঠেন পুরো বড়বেলুন গ্রাম । প্রতিবছরের মত এবারও ধূমধামের সঙ্গে সম্পন্ন হল বড়বেলুনের মা বড়মায়ের পুজো, তবে প্রতিমা দর্শন চলবে এখনও।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী