এই গ্রামে দন্ডি কেটে শিবের মাথায় জল ঢালবেন যুবক সুমন মাহাত। দন্ডি কেটে ৫২ কিলোমিটার যাত্রা মুখের কথা নয়! সুমন জানান, ছোটবেলায় বাবার কাজে সক্রিয়ভাবে যোগদান করতে না পেরে, মহাদেবকে বাবা বলে গণ্য করে দন্ডি কেটে গিয়ে বাবার মাথায় জল ঢালতে চান তিনি। দন্ডি কাটা শুরু করা মাত্র, রাস্তায় জমে গেল ভিড়। বৃদ্ধ থেকে শুরু করে বাচ্চারা সকলেই দেখতে থাকল এই আধ্যাত্মিক বহিঃপ্রকাশ। ভরা শ্রাবণ মাসে অনেকেই দণ্ডি কেটে কেটে, যাত্রা করছেন শিব মন্দিরের উদ্দেশ্যে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশেষভাবে সক্ষম…! খুদে পড়ুয়ারা এবার সহজেই পাবে শংসাপত্র! কীভাবে করবেন আবেদন, জানুন পদ্ধতি
কেউ যাচ্ছেন ৩৫ কিলোমিটার আবার কেউ যাচ্ছেন দণ্ডি কেটে ৫২ কিলোমিটার। শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ নিজে থেকেই রাস্তা ফাঁকা করে দিচ্ছেন। পাশ থেকে জাগাচ্ছেন উৎসাহ। কেউ কেউ এসে তুলছেন সেলফি। আবার কেউ কেউ দিচ্ছেন খাবার। এভাবেই এগিয়ে চলেছেন বাঁকুড়ার যুবক সুমন। ভরা শ্রাবণ মাসে ‘ভোলে বাবা’, এটাই রাঢ় বাংলার ঐতিহ্য। শ্রাবণ মাস দেবাদিদেব মহাদেবের মাস। সকাল থেকেই বিভিন্ন শিব মন্দিরে উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ছবিটাই দেখা যায় বাঁকুড়াতেও। শুধুমাত্র শিবের প্রতি বিশ্বাস আর ভক্তির জোরেই শিশু থেকে বৃদ্ধ এমনকি কিশোর কিশোরী থেকে প্রৌঢ়া, প্রত্যেকেই দেখা যাচ্ছে শুশুনিয়া পাহাড়ের ঝর্ণা থেকে কিংবা মুকুটমণিপুর থেকে জল নিয়ে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে অথবা সুমনের মত দণ্ডি কেটে পৌঁছে যান বাবা ভোলেনাথের মন্দিরে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী