স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লকের পালি রামকৃষ্ণ আশ্রমের কাছে থাকা কজওয়েটি বছর ছয়েক বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল ওই কজওয়ে। সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে নদীতে অতিরিক্ত জলের চাপে ভেঙে যায় সেটি। ওই রাস্তায় যাতায়াত রয়েছে রানিবাঁধ ব্লকের চালকিগড়া, মদনকাটা ও রাইপুর ব্লকের সর, পালি-সহ অন্তত ১০-১২টি গ্রামের মানুষের। ওই পথ দিয়েই রাইপুর ব্লক সদর, মটগোদা বাজার ও রানিবাঁধ ব্লক সদর-সহ বারিকুলেও যাতায়াত করেন অনেকে। কজওয়ে ভেঙে যাওয়ায় তা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে কজওয়ের কংক্রিটের প্রাচীরের উপর দিয়ে সাইকেল নিয়ে বাধ্য হয়ে যাতায়াত করছিলেন অনেকে। এবার কাঠের সাঁকো তৈরি হওয়ায় টোটো, ইঞ্জিন ভ্যান, বাইক, সাইকেল স্বচ্ছন্দে চলাচল করছে বলে দাবি বাসিন্দাদের।
advertisement
আরও পড়ুন: বড় বিদ্যালয়েও এমন হয় না! যা করে দেখাল বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামের বালিকা বিদ্যালয়
রাইপুরের কালুসাড় গ্রামের বাসিন্দা ভুবন সিং সর্দার, বিদ্যুৎ সিং সর্দারেরা বলেন, “ওই কজওয়ে দিয়েই সরবাজার, জানডাঙা মোড় হয়ে মটগোদা, রাইপুর হাসপাতাল যাতায়াত করতে হয়। তা ভেঙে যাওয়ায় অনেকটা রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছিল। প্রশাসনের তরফে কজওয়ে মেরামতের আশ্বাস না মেলায় বাধ্য হয়ে কাঠের সাঁকো তৈরির সিদ্ধান্ত নিই। তারপরে বাইক, সাইকেল চলাচল করছে”। পালি গ্রামের মহাদেব দাস চক্রবর্তী, ধ্রুব সিং সর্দারদেরও দাবি, কজওয়ে ভেঙে যাওয়ায় কোন গাড়ি চলাচল করছিল না। ঘুরে অনেকটা পথ অতিক্রম করে রানিবাঁধ, খাতড়া মহকুমা সদরে যেতে সময় ও অর্থ, দুইই বেশি খরচ হচ্ছিল। তাই গ্রামবাসীদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে নিজেরাই কাঠের সাঁকো তৈরি করেছি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সমস্যা মেনে বিডিও (রাইপুর) উদয়নারায়ণ দে জানান, “বাসিন্দারা অস্থায়ী কাঠের সাঁকো তৈরি করেছেন শুনেছি। ওই কজওয়ে সংস্কারের প্রস্তাব ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কাজ শুরু হতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করার।” বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, ওই কাঠের সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ঘুর পথেই বাসিন্দারা যাতায়াত করলে ভাল হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েতকে সম্পূর্ণ বিষয়টি নজরে রাখতে বলা হয়েছে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী