আলোর দিশা শ্রীকৃষ্ণ বিদ্যামন্দির একটি পাঠশালা যেখানে বিনামূল্যে পড়াশোনা করেন হাঁড়িপাড়ার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা, যারা এক সময় স্কুলেই যেতে পারত না, তারা এই পাঠশালায় অঙ্ক-ইংরেজি শিখছে। ক্ষুদে ছাত্রছাত্রীরা এবং তাদের অভিভাবকেরা সকলে একসঙ্গে মিলে পালন করলেন অকাল দোল উৎসব।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরের এই অংশে ব্যথা হলেই সাবধান…‘প্রাণের ঝুঁকি’ হতে পারে! অবহেলা করলেই সর্বনাশ
advertisement
এই দোল উৎসবে দেখা গেল ছোটদের বড়দের পায়ে আবির দিয়ে আশীর্বাদ নিতে। সঙ্গে ছোটরা বড়দের পরিয়ে দিল পলাশ ফুলের মালা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহযোগে পালিত হল দোল উৎসব। বাঁকুড়ার ময়রাবাঁধের তুলনা মূলক ভাবে শিক্ষা এবং আর্থিক দিক থেকে সামান্য পিছিয়ে পড়া হাঁড়িপাড়ায় এই পাঠশালা শুরু হয় ২০২৩ সালের সরস্বতী পুজোর দিন। ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ৫২ জন। শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন প্রায় সাত থেকে আট জন। প্রত্যেকেই উপস্থিত ছিলেন, এই অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়েছে জৈব আবির।
মুঠো ফোনের দৌরাত্মে বেড়েছে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের উৎশৃংখলতা। পাল্টেছে মুখের বচন, অনুশাসন হারিয়েছে তারা। তবে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে, বাঁকুড়ার একদল সহৃদয় ব্যক্তি শুরু করেছেন বিনামূল্যের পাঠশালা। এই পাঠশালায় বিজ্ঞান চর্চা থেকে শুরু করে করা হয় গীতা পাঠ। অংকের কঠিন সমীকরণ সমাধানের সঙ্গে শেখানো হয় কিভাবে সম্মান করতে হয় গুরুজনদের। যেন মানুষ গড়ার কারখানা।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





