কেউ আছেন দশ বছর, কেউ আছেন এক বছর। পরিবারের জন্য প্রাথমিক মন খারাপ ভুলে কেউ কেউ আবার সোয়েটার বুনতে ব্যস্ত। সেই সোয়েটারের উলের মতোই যেন জট পাকাচ্ছে অমীমাংসিত সব প্রশ্ন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চা বিস্কুট, তারপর সামান্য ব্যায়াম, এরপর ঠাকুরের নাম, গল্পগুজব করতে করতেই চলে আসে লাঞ্চের সময়। এরপর বিকেলে একটু ঠাকুরের নাম, বাগানে ফুলের চর্চা। সবশেষে ডিনার করে রাতের বিছানা। প্রায় সকল আবাসিকই বলছেন, সংসারের মানসিক চাপ থেকে বেরিয়ে এসে বেশ ভালই আছেন তাঁরা।
advertisement
প্রতি মাসে আবাসিক পিছু ৬৫০০ টাকা লাগে। প্রত্যেক আবাসিকের নিজস্ব রুম এবং ওয়াশরুম রয়েছে। আবাসিকদের মধ্যে অনেকে পেনশনের টাকায় নিজেরাই নিজেদের খরচ বহন করছেন। বলছেন, এটি একটি অখণ্ড অবসর এবং বানপ্রস্থ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিকে বর্তমানে রাজ্যে চলছে SIR-এর কাজ। জেলায় জেলায় বৃদ্ধাশ্রমগুলিতে ফিরে আসছেন ছেলেমেয়েরা। যদিও ক্ষীরোদ প্রসাদ বিদ্যা বিনোদ বৃদ্ধাশ্রমে তেমন কিছু ঘটেনি। এখানে গেলে অবশ্যই অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হবে। আবাসিকদের সঙ্গে কথা বললে বুঝতে পারবেন, জীবনের শেষ বয়সে এসে শান্তি খুঁজে পেলেও, একটা শান্ত বিষন্নতা রয়েই গিয়েছে। সেটাও বা মন্দ কী?





