স্পাইডার ম্যান, ব্যাট ম্যান এবং অ্যান্ট ম্যানকে টিভির পর্দায় দেখেছেন। রিল নয় রিয়াল লাইফ সুপারহিরো বাঁকুড়ার “বিম্যান” অর্থাৎ মৌমাছি মানব সুখ মহম্মদ। বাঁকুড়া জেলার ওন্দা ব্লকের চিঙ্গানি গ্রামের বাসিন্দা সুখ মহম্মদ এক দশকের বেশি সময় ধরে ভেঙে আসছেন মৌমাছির চাক। বাঁকুড়া ছাড়াও গোটা রাজ্যে তিনি ‘বিম্যান’ নামেই পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয় হোক কিংবা বাড়ির সান সেটে, ভয়ানয় মৌমাছির চাক ভাঙতে দূর দূরান্ত থেকে ডাক আসে সুখ মহম্মদের। এখনও পর্যন্ত ৪৫০ বন মৌমাছির কামড় সহ্য করতে পারেন বলেই জানিয়েছেন সুখ মহম্মদ নিজেই।
advertisement
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক শুরু হবে কোন সময়? বড় সিদ্ধান্ত জানাল হাইকোর্ট! লাখ-লাখ পরীক্ষার্থীর জন্য বিরাট খবর
মৌমাছি চাষ অর্থাৎ এপিকালচার কীভাবে করতে হয় সেটা নিয়ে সাম্প্রতিক বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের একটি বিশেষ পাঠ দিতে গিয়ে পেটের মধ্যে অসংখ্য মৌমাছি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন তিনি। আসে পাশে ছাত্র ছাত্রী ছাড়াও বাচ্চারা এই দৃশ্য দেখে উচ্ছাস শুরু করে। সুখ মহম্মদ জানান, বাঁকুড়ার মূলত ইউক্যালিপটাস, পলাশ এবং তিলের মধু। যার মধ্যে ইউক্যালিপটাস মধুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।”
আরও পড়ুন: প্রতি মাসে ১০০০ টাকা! দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার! এই প্রকল্প সম্পর্কে জানেন? কারা পাবেন, জানুন
মৌমাছির ভূমিকা অপরিসীম এবং মৌমাছির কারণেই হতে পারে কৃষির উন্নয়ন, বললেন বাঁকুড়ার সুখ মহম্মদ। এছাড়াও বাঁকুড়ার মধুর গুনগত মান এবং ঘনত্ব সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বলেই জানিয়েছেন তিনি। মৌমাছি এবং মধুর সঙ্গে এই যুদ্ধ এবং প্রেমই যেন সুখ মোহাম্মদকে বাঁকুড়ার মৌমাছি মানব বলে সুপ্রতিষ্ঠিত করে তুলেছে।
—- নীলাঞ্জন ব্যানার্জী