পায়ে ব্রেক, কিক মেরে স্টার্ট। ভটভট করে আওয়াজ শোনা যায় না আজ। তবে যদি আপনার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় তাহলে বাঁকুড়া শহরের একবার হলেও চোখে পড়তে পারে বছর সত্তরের সুশান্ত নন্দিকে। দেখবেন এই ব্যক্তি তাঁর ৩৭-৩৮ বছরের স্কুটারে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এদিক-ওদিক।১৯৮৭ সালে সুশান্তবাবুর খুব ইচ্ছে হয়েছিল একটি স্কুটার চড়ার। তখন সবে নতুন লঞ্চ করেছে প্রিয়া স্কুটার।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
দৌড়ে গেলেন আসানসোল। অতিরিক্ত চার হাজার টাকা দিয়ে আসানসোল এই গাড়ি চালানো শিখে ফিরে আসেন বাঁকুড়া। ৩৭ বছর ধরে এই গাড়িটি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নতুন ধরনের স্কুটি চালানোর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু স্কুটিতে পায়ে ব্রেক না থাকায় গাড়ি থেকে পড়েছেন একবার। বছরে প্রায় দুবার করে নিজের প্রিয় শখের গাড়ি সার্ভিসিং করান সুশান্তবাবু। তেলের সার্ভিস খুব কম! শহরের মধ্যেই ঘোরাফেরা করেন কিন্তু ৩৭ বছরের পুরানো গাড়ি এখনও টিপটপ।
আরও পড়ুন: বাগরাকোটের লুপপুল দেখতে যাওয়াই কাল হল! গাড়ি উল্টে ভয়াবহ দুর্ঘটনা
প্রবীনদের কাছে পায়ে ব্রেক স্কুটার একটা নস্টালজিয়া। প্রবীণরা প্রত্যেকেই প্রায় স্কুটার চালিয়ে অভ্যস্ত ছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কেউ কেউ মানিয়ে নিতে পেরেছেন নতুন স্কুটি আসার পর। আবার কেউ কেউ এখনও মানিয়ে নিতে পারেননি, তাদের মধ্যেই অন্যতম বছর সত্তরের যোগেশ পল্লীর বাসিন্দা এবং পেশার ব্যবসায়ী সুশান্ত নন্দী, চালাচ্ছেন ৩৭ বছরের বাহন নস্টালজিক স্কুটার।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী