আর্শিতার বাড়ি কাটজুরিডাঙ্গা এলাকায়। বাবা বিনয় পাল চাকুরিজীবী এবং মা গৃহবধূ। বাবা-মা দু’জনেই ইসকন থেকে দীক্ষিত এবং কৃষ্ণ ভাবাবেগে আবিষ্ট। সেই আবহেই বড় হচ্ছে তাঁদের কন্যা। আর্শিতার বাবা বিনয় পাল বলেন, ‘আমরা দু’জনেই কৃষ্ণের বাণী প্রচার করতে পছন্দ করি। আমাদের মেয়েকে সেই কারণেই এইভাবে বড় করছি। ওঁর মধ্যে সকলের প্রতি ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা রয়েছে’।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সাইকেলে চেপে কেদারনাথ! পরনে গেরুয়া পোশাক, ভোলেবাবার নাম নিয়ে যাত্রা শুরু অশোকনগরের দুই বন্ধুর
আর্শিতা কৃষ্ণকে নিয়ে ইংরেজিতে একটি ছোট্ট প্রতিবেদন বলে। বাঁকুড়া শহরের সুকান্ত পল্লীর J3S ইনস্টিটিউট থেকে স্পোকেন ইংলিশ শিখছে এই খুদে। পাঠ গ্রহণের আগে সকলকে ‘হরে কৃষ্ণ’ বলে সম্বোধন করে আর্শিতা। খুদের শিক্ষিকা সুলেখা দাস বলেন, ‘ক্লাসে ঢোকা মাত্রই সবাইকে ‘হরে কৃষ্ণ’ বলে আর্শিতা। সবকিছু খুব তাড়াতাড়ি রপ্ত করতে পারে। ও বয়সে সবচেয়ে ছোট লার্নার’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জন্মাষ্টমীর শুভ দিনে বাঁকুড়ার আর্শিতা যেন এক সুশীল কৃষ্ণ ভাবাবেগের জ্বলন্ত উদাহরণ। মুখে হাসি এবং চোখে কোমলতা নিয়ে নিষ্পাপ শিশু মনও ভগবত গীতার রস আস্বাদন করতে পারে, এটাই প্রমাণ করে দেখাল বাঁকুড়ার বছর তিনেকের এই খুদে।