শোনা যায়, ব্রিটিশ আমলে বেনারস থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল মা ভবতারিণীর মূর্তি। নামজাদা ডাকাতদের কাছে সেই মূর্তি পূজিত হত। এরপর ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে ডাকাতদের প্রভাব কমে গেলে গন্ধেশ্বরী নদীর ওপার থেকে লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশানে মায়ের মূর্তি নিয়ে আসা হয়। মা ভবতারিণীর কাছে ভক্তেরা একদম শাস্ত্রমতে পুজো দিতে পারবেন। অপরদিকে শ্মশান কালী মন্দিরে পুজো হবে তন্ত্রমতে। প্রায় ৩০০-৩৫০ বছরের পুরনো কালীক্ষেত্র এটি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ‘নিজেই এসেছিলেন মা’! ‘কালীক্ষেত্র’ সোনামুখীর ৪০০ বছরের কালীপুজো, জড়িয়ে আছে অবাক করা কাহিনী
বাঁকুড়ার লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশানের সেক্রেটারি অভিজিৎ দত্ত বলেন, ৩৪ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকার বাজেট। রানীগঞ্জ এবং চন্দননগর থেকে আলো এসেছে। প্রচুর মানুষের সমাগম হওয়ার জন্য প্রস্তুত এই মহাশ্মশান। প্রশাসন থেকে শুরু করে পুলিশ সবাই তৎপর। বসবে বিরাট মেলা। লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশানের মণ্ডপ এবং প্যান্ডেল দেখতে ভিড় জমাবেন সাধারণ মানুষ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শ্মশান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুজো চলাকালীন প্রতিদিন শ্মশানের কাজ অব্যাহত থাকবে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা সাত দিন শবদাহ হবে। এর জন্য ব্যবস্থা থাকছে। মানুষ যাতে মহাশ্মশানের এই পুজো উপভোগ করতে পারেন সেই জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই চলবে শ্মশানের শবদাহ করার কাজ।