প্রায় ৩০ বছর ধরে গ্রীষ্মকালে ফ্যান সারাই করে আসছেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা সদানন্দ গড়াই। তাঁর ছোট্ট দোকানে জমেছে পুরানো সিলিং এবং টেবিল ফ্যানের পাহাড়। কেউ বলছে আজই লাগবে, আবার কেউ বলছে ফ্যান ছাড়া বাড়িতে তাঁর সন্তান কাঁদছে। সদানন্দ গড়াই জানান, হঠাৎ করে বিগত চার পাঁচ-দিনে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তেই বিকল ফ্যান আসতে শুরু করেছে। ফ্যানের ডাক্তারের মত একের পর এক ফ্যানকে সারিয়ে তুলছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: গরমে বাঁকুড়া এসেই পর্যটকদের চিৎকার ‘স্যাটিসফাইড, স্যাটিসফাইড’! কি এমন ঘটছে জেলায়
গ্রীষ্মের অপেক্ষায় শীতকাল কাটান সদানন্দ বাবু। এই সময়টায় ফ্যান সারিয়ে বেশ কিছু রোজগার হয় সেই কথা অকপটেই স্বীকার করেছেন তিনি। তিনি জানান, পুরো গ্রীষ্মকালে চিত্রটা একই রকম থাকে। গরম কমলেই ধীরে ধীরে ফ্যান আসা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তখন ইলেকট্রিকাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে ও সারাই করেই ব্যাবসা চালাতে হয়। তিনি আরও বলেন যে বর্তমানে প্রতিটা পরিবারে মাথা পিছু একটা করে ফ্যান সেই কারণে গরম পড়লেই সারানোর জন্য ফ্যানের অভাব হয়না তাঁর।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়াও নতুন ফ্যান কেনার থেকে সরিয়ে নিলে খরচ তিনগুণ কমে যায় বলেই দাবি করছেন তিনি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফ্যান সারিয়ে যাচ্ছেন প্রবীণ সদানন্দ গড়াই। তাঁর দোকানের সহকর্মীও সেই কাজ করে যাচ্ছে সমান তালে। সাধারণ মানুষ গ্রীষ্মকে ভয় পেলেও, বাঁকুড়ার ‘ফ্যানের ডাক্তার’ যেন চাতক পাখির মত অপেক্ষা করেন গ্রীষ্ম আসার।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





