এর ফলে যাত্রীদের যেমন ট্রেন বদল করার আর প্রয়োজন হবে না, অন্য দিকে, মশাগ্রাম থেকে লাইন পার হয়ে অন্য ট্রেন ধরার ঝুঁকিও থাকবে না। এক ট্রেনেই বাঁকুড়া থেকে মশাগ্রাম হয়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে হাওড়ায়। এত দিন মশাগ্রামে ট্রেন বদল করতে হত। এবার আরও সহজে এবং কম সময়ে রেলপথে হাওড়া থেকে বাঁকুড়া পৌঁছে যাওয়া যাবে। বাঁকুড়া থেকে হাওড়া ট্রেন চলাচল শুরু হলে এই এলাকার আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থারও আমূল পরিবর্তন ঘটবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল থেকে দক্ষিণ দামোদর নিবাসী অধিকাংশ মানুষ।
advertisement
সূত্রের খবর, আর মাত্র কিছুদিন, ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে চঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এই খবরে। যদিও বাঁকুড়া স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার জানান, আমাদের কাছে অফিসিয়ালি কোনও বক্তব্য এখনওআসেনি। আসলে তবেই আমরা বলতে পারব। যদি চলতি মাসেই, বাঁকুড়া মশাগ্রাম লাইন বর্ধমান হাওড়া কর্ড লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়, তাহলে এক নিমেষে বাঁকুড়া থেকে কলকাতার দূরত্ব কমে যাবে প্রায় দু’ঘণ্টা। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন এই লাইন দিয়ে যাতায়াত করবে।
আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বিরাট প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে! আরজি কর কাণ্ডে বদলে যাবে তদন্তের গতি?
দক্ষিণ দামোদর এলাকার ছাত্র-ছাত্রীকে তখন বর্ধমান শহরে পড়াশোনা করতে যেতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতিদিন খরচ করতে হবে না। সেখানে এর থেকে অনেক কম খরচে হাওড়া হয়ে ছাত্রছাত্রীরা কলকাতা পৌঁছে যেতে পারবে। মোট কথা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য সহ আর্থসামাজিক দিক থেকে এই এলাকার প্রভূত উন্নয়ন ঘটবে বলেই ধারণা সাধারণ মানুষের।