বাঁকুড়ার বড়জোড়া নামোপাড়া এলাকার মানুষের দাবি ৫০০-৬০০ বছর আগে গোপাল পান্ডে নামের এক জমিদার থাকতেন এখানে, তিনি তৎকালীন যুগে এই মন্দিরগুলি নির্মাণ করেছিলেন এবং বেনারস থেকে গরুর গাড়ি করে কষ্টিপাথরের শিব লিঙ্গ এনে এখানে স্থাপন করেছিলেন। তার সঙ্গে ছিল অষ্ট ধাতুর জনার্দন দেবের মূর্তি। এই এলাকায় সেই পরিমাণে বসতি না থাকলেও এই মন্দিরের জন্য জমজমাটি হয়ে থাকত মন্দির চত্বর। দু’বেলা পুজো ও বিতরণ করা হত অন্ন প্রসাদ।
advertisement
আরও পড়ুন: ফাঁকা বাড়িতে চুরি, লুটপাট! নাম জড়াল কার জানেন? বিজেপির মন্ডল সভাপতির ভাইয়ের, কোথায় জানুন
বেশ পুজো অর্চনা হত বাঁকুড়ার এই মন্দিরে নিয়ম করে। ভক্তরাও আসত এখানে। হঠাৎ একদিন মন্দিরে থাকা অষ্টধাতুর জনার্দনের মূর্তি চুরি হয়ে যায় আর সেই থেকেই পুজো অর্চনা বন্ধ হয়ে যায় এই মন্দিরে। পান্ডে পরিবারের লোকজন পুনরায় পুজোর আয়োজন শুরু করার চিন্তা ভাবনা করে, তবে তা আর হয়ে ওঠেনি। এখন বড়জোড়ার এই পান্ডে পরিবারের বংশধররা থাকলেও মন্দির আর নতুন করে গড়ে ওঠেনি এবং পুজোও আর হয় না। নিয়ম করে ষষ্ঠী পুজোর সময় এই মন্দিরের সামনে শুধুমাত্র ষষ্ঠী পুজোটাই হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বড়জোড়া চৌমাথা থেকে পখন্না রাস্তার ধারে নামোপাড়া গেলেই দেখতে পাবেন বিশাল বড় গাছ এবং চারিপাশ ঝোপ ছাড়ে ভর্তি। সেখানেই লুকিয়ে রয়েছে জোড়া শিব মন্দির, একটু ভাল করে দেখলেই দেখতে পাবেন। ভগ্ন অবস্থায় রয়েছে পাশাপাশি দুটি মন্দির এবং এই মন্দিরের ভেতরেই বিশাল আকারের শিবলিঙ্গ রয়েছে। ছেড়ে ছেড়ে পড়ছে মন্দিরের দেওয়াল, মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কাজ। এখন আর স্পষ্ট দেখা যাবে না। মন্দির ভেদ করে বেরিয়েছে বিশাল আকারের গাছ। মন্দির চত্বর আগাছায় ভর্তি। পাণ্ডে পরিবারের সদস্যরা এখন সরকারের কাছে এই মন্দিরটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন।