জয়নগরের শাহনুর আলমও (নাম পরিবর্তীত) বাড়ি তৈরির টাকা পেয়ে আজ করব-কাল করব বলে বারেবারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন। কিন্তু আট মাস পরেও বদলায়নি চিত্র। প্রশাসন থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানিয়েছেন, ওই টাকার একটি অংশ তিনি চিকিৎসা খাতে খরচ করে ফেলেছেন। রহিম বা শাহনুরের মতো এরকম অনেক উপভোক্তা বিভিন্ন কারণে বাড়ি তৈরির কাজে হাত দেননি। এমন উপভোক্তাদের বুঝিয়েও কোনও কাজ না হওয়ায় কড়া সিদ্ধান্ত নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
advertisement
এই ধরনের প্রায় ১২০০ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে তারা। অর্থাৎ ওই অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন না উপভোক্তারা। এরপরও হেলদোল নেই অনেকের। সূত্রের খবর, কিছু উপভোক্তা এই চাপে বাড়ি তৈরি করার কাজ শুরু করতে চেয়ে অ্যাকাউন্ট চালু করার আবেদন করেছেন। কিন্তু বেশিরভাগই এখনও যোগাযোগ করেননি। বাড়ি তৈরির টাকা যাতে কোনও ভাবে নয়ছয় না করা হয়, সে জন্য পঞ্চায়েত দফতরের থেকে প্রতিটি জেলাকে নজর রাখতে বলা হয়েছিল। সেই কাজ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, একশ্রেণির উপভোক্তা টাকা ফেলে রেখে দিয়েছেন, কিন্তু কাজে হাত দিচ্ছেন না।
আবার কয়েকজন অন্য কোথাও টাকা খরচ করে ফেলেছেন। এই অবস্থায় প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বাড়ি না করতে চাইলে টাকা ফেরত দিয়ে দিতে হবে। কিন্তু অন্য কোনও খাতে তা খরচ করা যাবে না। এই পদক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ওই উপভোক্তাদের টনক নড়ে কিনা, সেক দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন আধিকারিকরা। তাঁরা বলেন, যে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, মূলত সেটাই ফ্রিজ করা হয়েছে। এতে কিছুটা হলেও চাপে পড়বেন ওই উপভোক্তারা।