একজন মহিলা সঙ্গী ও তিন জনকে নিয়ে এসে নিউটাউনের ওই বিলাস বহুল আবাসনে (সঞ্জীবা গার্ডেনস) ছিলেন তিনি বলেই জানা যাচ্ছে পুলিশ সূত্রে। যেই ফ্ল্যাটটিতে খুন হন সেই ফ্ল্যাটটি একজন এক্সাইড ডিপার্টমেন্টের অফিসারের বলেও জানা যাচ্ছে। সেখানেই খুন করা হয় তাঁকে, এমনই অভিযোগ। বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের ওই সাংসদ চিকিৎসার (স্নায়ুরোগ) জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন।
advertisement
১৩ তারিখের পর থেকে সাংসদের পরিবার আর তাঁর সঙ্গে কোনও ভাবেই যোগাযোগ করতে পারেনি। সাংসদের মেয়ে বাংলাদেশের থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, তারপরই শুরু হয় তদন্ত। যদিও, সাংসদের মেয়ে বর্তমানে কলকাতায় রয়েছেন। পরিচিত গোপাল বিশ্বাস ১৮ মে বরানগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই সূত্র ধরেও তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ৫ দিন ধরে খোঁজ না মেলায় বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাও শুরু করে তদন্ত। ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা।
আরও পড়ুন: কলকাতার ভোটের আগে বিরাট ঘটনা, এবারের ভোটে প্রথম এমন সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সাংসদ আজিমকে খুন করা হয়েছে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে এখনও কোনও মুখ খোলা হয়নি প্রশাসনের তরফে। ফোনে রিং হয়ে গেলেও ফোন রিসিভ করছিল না কেউই। একটি নীল গাড়ি করে তারা বেরিয়ে ছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। এরপরই গোটা বিষয়টি জানানো হয় পুলিশকে। এরপরই আইবি থেকে শুরু করে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের বিশেষ গোয়েন্দা দল তদন্তে নামে। এদিন ঘটনার কথা প্রকাশে আসে।
আরও পড়ুন: ৯০ মিনিটে পানশালায় ৪৮ হাজার টাকা উড়িয়ে দু জনকে গাড়ি চাপা! শাস্তি পাবে পুণের নাবালক? সিদ্ধান্ত আজ
এই মুহূর্তে ওই আবাসনে সেন্ট্রাল আই বি, এসটিএফ-এর আধিকারিকরা থেকে শুরু করে ব্যারাকপুর ও বিধান নগর পুলিশ কমিশনারের বিশেষ তদন্তকারী দল রয়েছে। তারা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। কারা কারা সাংসদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন সে বিষয়টিও নজর রাখা হচ্ছে। যে ফ্ল্যাটের মধ্যে ছিল সেখানে তল্লাশি চালাচ্ছে। বেশ কয়েকজন সঙ্গী থাকলেও ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক বলেও জানা যাচ্ছে। তবে কি পরিকল্পনা করে ডেকে এনে খুন করা হয়েছে সাংসদকে! কি ঘটেছিল সে বিষয়ে নিশ্চিত হতেই এখন তদন্ত চালাচ্ছে গোয়েন্দারা।
—– Rudra Narayan Roy