তাঁদের আতঙ্ক যে কোনও মুহূর্তে সিল করে দেওয়া হতে পারে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত৷ সেই আতঙ্কতেই ভিসার মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও, প্রয়োজনীয় কাজ যেমন চিকিৎসা এমনকি আত্মীয় পরিজনদের বাড়িতে ঘুরতে আসার পরিকল্পনা মাঝ পথেই ফেলে রেখে দেশে ফিরতে পেট্রাপোল সীমান্তে ভিড় বাংলাদেশী নাগরিকদের।
তাই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দেশে ফেরার জন্য পড়েছে লম্বা লাইন। বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি অত্যাচারে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। সেই পরিস্থিতিতে ভারত বিরোধী নানা মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে।
advertisement
ফলে ভারতের সঙ্গে পরিস্থিতি খারাপ হলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে সীমান্তের দরজা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা ছাড়া মিলছিল না ভিসা। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক আদান-প্রদান চললেও, ওপারে অস্বাভাবিক জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে ।
এই পরিস্থিতিতে এখন বাংলাদেশে থাকা পরিবার-পরিজনদের পাশেই থাকতে চাইছেন ভারতে ভ্রমণে আসা বাংলাদেশী নাগরিকরা। তাই পেট্রাপোল সীমান্তে যাত্রীদের লম্বা লাইন চোখে পড়ছে দেশে ফেরার। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান তৈরি হওয়া পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্টই উদ্বেগে তাঁরা।
যদিও পণ্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে এখনও তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি বলেই জানালেন পেট্রাপোল বন্দরের ক্লিয়ারিং ও ফরওয়ার্ডিং এর সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক ব্যবসায় এখনও কোনও প্রভাব পড়েনি।
তবে যাত্রীদের মধ্যে চঞ্চলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, আমদানি রফতানির বিষয়ে একটি প্রোগ্রাম হবে কোন একটি রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের তরফে। সে বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
অনেকেই জিজ্ঞাসা করছেন সোমবার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট বন্ধ থাকবে কিনা তা নিয়ে? তবে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও খবর নেই বলেও জানিয়ে দেন কার্তিকবাবু। তবে যদি কোন অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় সেক্ষেত্রে প্রশাসন বিষয়টি দেখবে বলেও জানিয়ে দেন সীমান্তে পণ্য পরিবহনের দায়িত্বে থাকা এই আধিকারিক।
তবে বাংলাদেশে নতুন করে যেভাবে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে তাতে চরম আতঙ্কিত সে দেশের নাগরিকরাও, তার আঁচ বোঝা যাচ্ছে সীমান্তে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক সুস্থ থাকুক এমনই চাইছেন সকলে।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের এই উত্তাল পরিস্থিতির কারণে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা, মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সীমান্ত রক্ষী বাহিনীও।
Rudra Narayan Roy