বর্ধমান শহরে চলছে খাদ্যমেলা। মেলাতেএকটিস্টল বসিয়েছেনবর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের কয়েকজন আবাসিক। শহর তথা জেলার খাদ্য প্রেমীদের তৃপ্তি দিতে এই আয়োজন করেছে বর্ধমান ফুডিস ক্লাব। এই মেলাকে কেন্দ্র করে বসেছে একাধিক ফুড স্টল।তথাকথিত এই ব্যতিক্রমী ফুড স্টল দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। সবারই চোখে মুখে কৌতূহলের ছাপ। অভিনব এই উদ্যোগের প্রশংসাও করছেন অনেকেই। জানা গিয়েছে গত বছরের খাদ্য মেলাতেও এই আবাসিকদের স্টল বসেছিল।এবছরও তারা উপস্থিত হয়েছেন তাদের তৈরি খাবারের সম্ভার নিয়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দুকে বের করেছেন…’ বিরোধী দলনেতাকে সামনে রেখে মমতাকে চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের
বর্ধমান ফুডিস ক্লাবের সভাপতি মৈনাক মুখোপাধ্যায় বলেন, সংশোধনাগার মানে হচ্ছে মানুষকে সংশোধন করার ঠিকানা। অথবা তাদেরকে শেখানো যে কী ভাবে আবার সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে হয় । ওদেরকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে গেলে সবার সঙ্গে মিশতে দিতে হবে ,কথা বলতে দিতে হবে , এভাবেই তারা সংশোধিতহবেন ।মেলায় উপস্থিতকেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ওয়ার্ডেনজানান,সংশোধনাগারে আবাসিকদের একটি নিজস্ব ক্যান্টিন রয়েছে । ওরানিজেরাই ক্যান্টিন চালান। যারা আবাসিক আছেন তাদেরই সব দায়িত্ব দেওয়া থাকে । তবে এই সমস্ত কাজ হয় আধিকারিকদের অধীনে।
আরও পড়ুন: কেন মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বাড়ালেন? রহস্য ভাঙলেন মমতা! জানিয়ে দিলেন কারণ
বর্ধমান খাদ্য মেলার ৪১ নম্বর স্টলে গেলেই চোখে পড়বে আবাসিকদের এই খাবারের স্টল। ওখানে যারা খাবারেররয়েছেনতাদের মধ্যে কেউ ১৮ বছর ,১৪ বছর আবার কেউ পাঁচবছর ধরে সংশোধনাগারে রয়েছেন। আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ওরারান্না করা , মিষ্টি তৈরি করা সমস্ত কিছুইসংশোধনাগারেশিখেছেন। এমনকি সংশোধনাগারে তাদের নিজস্ব ক্যান্টিনও রয়েছে । কি নেই এই ৪১ নম্বরস্টলে ? এখানেপাওয়া যাচ্ছে বিরিয়ানি,চার থেকে পাঁচ রকমের মিষ্টি ছাড়া আরও বেশ কিছু আইটেম। অনেকে ভিড় জমাচ্ছেন সুস্বাদু খাবার কিনতে তাদের এই স্টলে ।
ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত এই মেলা চলবে প্রতিদিন বেলা দুটো থেকে রাত দশটা পর্যন্ত। বর্ধমান শহরের উৎসব ময়দানে । খাদ্য মেলায় এই ৪১ নম্বর স্টলে আবাসিকদের খাবারের স্বাদের প্রশংসা করছেন যারা খাবার খাচ্ছেন তারা সকলেই।
—- বনোয়ারীলাল চৌধুরী