পরিবার সূত্রে খবর, মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসতেন নাসিমউদ্দিন। তবে বাড়ি এলেও কারোও সঙ্গে কথা বলতেন না। এক চিলতে পাকা বাড়িতে বাস করতেন নাসিমউদ্দিন। তবে রবিবার তিনি মামার বাড়ি হুগলিতে যান। তারপর সেখানেই ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে গিয়েছে , হুগলির দাদপুরে হাজারপাড়া গ্রামে মামার বাড়ি নাসিমউদ্দিনের।
আরও পড়ুন: মেয়ে গ্রেফতার হওয়ার পরই আদালতে মুখ খুললেন অনুব্রত! যা বলে দিলেন, তোলপাড় বাংলা
advertisement
রবিবার বিকেলে দাদপুরে মামার বাড়ি আসেন ধৃত নাসিমউদ্দিন । মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ গ্রামে ঢোকে পুলিশের গাড়ি। বাড়ির দরজায় কড়া নাড়েন এসটিএফের অফিসাররা। নাসিমের মামা গোলাম মোস্তাফা জানিয়েছেন , দরজা খুলতেই প্রশ্ন শুরু করে পুলিশ। নাসিম কোথায় ? জিজ্ঞাসা করা হয় তাঁকে। নাসিমউদ্দিনের মামার দাবি, ওই সময় তখন দোতলার ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন নাসিমউদ্দিন । ঘরে ঢুকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আর সেই খবর বাড়িতে এসে পৌঁছাতেই হতবাক হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। কীভাবে এই কর্মকান্ডের সঙ্গে সে নিজেকে জড়িয়ে নিল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: 'এটা কী বলুন তো..', সুকন্যাকে জিজ্ঞেস করে ইডি! উত্তর না মেলাতেই সঙ্গেসঙ্গে গ্রেফতার!
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলকায়দা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিলেন নাসিমউদ্দিন সেখ। বিভিন্ন সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। করতেন সন্ত্রাসমূলক মতাদর্শের প্রচার। সূত্রের খবর, জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দার মতাদর্শ প্রচারের দায়িত্ব পালনের ভার ছিল নাসিমউদ্দিন সেখের কাঁধে। পুলিশ নাসিমউদ্দিন সেখের সঙ্গে আল কায়দা জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র খুঁজে পেয়ে তাঁকে হুগলি থেকে গ্রেফতার করে। প্রসঙ্গত, গত এক বছর ধরে ফেরার ছিল ধৃত নাসিমউদ্দিন সেখ। তবে পরিবারের সদস্যরা জানান, ''আমাদের নাসিমউদ্দিন ভালো সন্তান হিসেবেই পরিচিত। কোনও জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বর্তমানে বাইরে কর্মরত ছিল।''
-------কৌশিক অধিকারী