জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, নেতৃত্বের নির্দেশেই এই সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে। দলবিরোধী কাজের জন্য এক সময়ে দলীয় মঞ্চে দাঁড়িয়ে দেবাশিসকে বহিষ্কার করেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে অবশ্য দেবাশিস দলে ফিরে আসেন। পেয়েছিলেন দলীয় পদ। তাঁকে সাগরদিঘি কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থীও করে তৃণমূল। যদিও উপনির্বাচনে হেরে যান দেবাশিষ। সাগরদিঘি হারের নেপথ্যে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। দলীয় রিপোর্টেও প্রার্থীর প্রতি অসন্তোষের কথা বারবার উঠে এসেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতার সিবিআই দফতরে শীর্ষ কর্তারা, বড় কিছু ঘটতে চলেছে? তোলপাড় বাংলা
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে পরাজয় ঘটে শাসক দলের। যা নিয়ে রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়ী হন কংগ্রোসের প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। প্রসঙ্গত, নব জোয়ার কর্মসূচিতে চার দিন ধরে মুর্শিদাবাদে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভগবানগোলা, লালগোলা, জঙ্গিপুর সাংগঠনিক সভাতে দলীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে নিয়ে একাধিক বৈঠক করেন। সেইসময় দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমাও পড়ে।
আরও পড়ুন: জীবনকৃষ্ণের মোবাইলে কার নাম, এবার কাকে ডাক? নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার বিরাট মোড়
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চলে যেতেই দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে শামসুল হুদাকে তৃণমূলের নতুন ব্লক সভাপতি করা হল। জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, সুসংগঠিত পঞ্চায়েত নির্বাচন করার লক্ষ্যে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মত নতুন ব্লক সভাপতি করা হল শামসুল হুদাকে। আগের ব্লক সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলা কমিটির সম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে।
জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান কানাই মণ্ডল বলেন, ”উপনির্বাচনের ফলাফল দেখে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতোই শামসুল হুদাকে নতুন ব্লক সভাপতি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের উন্নয়ন সব স্তরের মানুষের জন্যই। কিন্তু সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করছে। সংখ্যালঘু ভোটাররা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন। নতুন ব্লক সভাপতির দায়িত্বভার পাওয়ার পর শামসুল হুদা বলেন, ”গুরু দায়িত্ব পেয়েছি, চ্যালেঞ্জটা খুব কঠিন। সাগরদিঘির হার আমরা এখনও মেনে নিতে পারিনি। সাগরদিঘি পুনরুদ্ধার করার জন্য সংগঠনের সকলকে সঙ্গে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব। সাগরদিঘির সংখ্যালঘু ভোটারদের সমর্থন নেই, এই কারণটা সম্পূর্ন ভুল। শুভেন্দু অধিকারীর পাপের প্রায়শ্চিত্ত হল সাগরদিঘির হার।”