আরও পড়ুনঃ সাক্ষাত্ রামবাণ! সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে? শরীর যেন চলেই না! খালি পেটে খান এই ফুলের বীজ
গেটের বাইরে কোন্নগর পৌরসভার কর্তৃক পক্ষ থেকে এক সতর্কবার্তা প্রদান করা রয়েছে। যেখানে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে এই গঙ্গার ঘাটে একটি দহ্ রয়েছে। যারা স্নান করতে নামবেন তাঁরা সাবধানে স্নান করবেন। কি এই দহ্! কেনই বা এটি বিপজ্জনক! এ বিষয়ে কথা বলতে আমরা এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে পৌছাই। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় কয়েকশো বছর ধরেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম তারাই দহ্য়ের গল্প শুনে এসেছেন তাঁদের পরিবারের মুখেই। এই গহ্বর হল নদীর মধ্যে থাকা এক বিশাল গর্ত। যে গর্তের মধ্যে অনবরত পাক খেয়ে চলেছে নদীর জল। মূলত ভাটার সময় এই গহ্বর আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। একবার এই গহ্বর এর মধ্যে পড়লে সাক্ষাৎ যমরাজের হাতছানি।
advertisement
এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বাবু দাস বলেন, বারো মন্দির ঘাটে এই গহ্বর রয়েছে ঘাটের সিঁড়ি শেষ হওয়ার কিছুটা পরেই। বাইরে থেকে দেখলে কখনও কখনও বোঝা যায় যে ওই জায়গায় অনবরত ঘুরপাক খেয়ে চলেছে জল। জলের এই স্রোতের টান এতটাই হয় যে ওই গর্তের আশেপাশে কেউ থাকলে তাঁকে জলের স্রোতে টেনে নামিয়ে নেয় গর্তের মধ্যে। ভাল সাঁতার জানা সাঁতারুদেরও হিমশিম খেতে হয় এই দহের মধ্যে পড়লে। মানুষজন অসতর্কভাবে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে পড়ে আর তাতেই বেড়ে চলে বিপদ।
আরও পড়ুনঃ মোমের মতো মেদ গলে চাবুক ফিগার! শুধু সকালে ‘এই’ একগ্লাস শরবত! খেলেই ভ্যানিশ শরীরের জটিল-কঠিন রোগ
প্রশাসনের তরফ থেকে বিপজ্জনক দহ্ থাকার দরুন ওই গঙ্গার ঘাটে বিশেষ পুজার দিনে স্নান করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে, প্রশাসনের সতর্কবার্তাকে উপেক্ষা করে মানুষজন নেমে পড়েন গঙ্গায়। আর যাদের ভাগ্য খারাপ থাকে তারাই গিয়ে পড়েন সেই বিশাল জলের তলায় থাকা গহ্বর অর্থাৎ দহের কবলে। আর একবার যারা এর কবলে পড়েছেন তাঁদের নব্বই শতাংশ মানুষেরই মৃত্যু ঘটেছে।
রাহী হালদার





