আরও পড়ুনঃ ঘড়ি ধরে ‘এই’ সময়ে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার করুন! হু হু করে ঝরবে চর্বি, শরীরও থাকবে ফিট
পাহাড়ি উপত্যকায় যেভাবে মেঘ নেমে আসে, যেভাবে পাহাড়ের কোল থেকে মেঘ সরে যায় আবার ও মেঘে ঢেকে যায় গোটা এলাকা ঠিক সেভাবেই সকালবেলায় হুগলি জেলার প্রতিটা শহর ঢেকে যাচ্ছে কুয়াশায়। কুয়াশার কারণে জীবনযাপন কিছুটা বিঘ্নিত হলেও, শীতের এই কুয়াশা একটা অন্য আমেজ দিচ্ছে আপামর বাঙালিকে। সকালের গরম চায়ের সঙ্গে কুয়াশার চাদরে মোরা গোটা শহর যেন বারবার মনে করাচ্ছে ঘুম, পোখরি, দার্জিলিং এর কথা। পাহাড় প্রেমী বাঙালি শহরের কুয়াশাতেও পাহাড়ের মেঘের আমেজ নিতে ছাড়ছেনা। আগে ভোর বেলায় যতনা মানুষ রাস্তায় বেরতেন, এখন শুধু কুয়াশা দেখার জন্যই বহু মানুষ তারা রাস্তায় বেরোচ্ছেন।
advertisement
সকালের কুয়াশার কারণে, একদিকে যেমন যান চলাচল ধীর গতিতে হচ্ছে। সকাল থেকেই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তেমনই ট্রেনও চলছে ধীরগতিতে, মাঝে মাঝে ফেরী পরিষেবা ও ব্যাহত হচ্ছে। কারণ কুয়াশার কারণে দৃশ্যমান্যতা একেবারে শূন্যর কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে । তবে সকাল পেরিয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গেই গায়েব হয়ে যাচ্ছে কুয়াশার চাদর। সকাল ১০ টা থেকে একেবারে জীবন যাপন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসছে মানুষের। ভোরের ঘন কুয়াশা গায়েব হয়ে নেমে আসছে শীতের মিঠে রোদ। এই সময়টাই বাঙালির ঘুরতে যাওয়ার আদর্শ সময়। তবে পাহাড় যাদের মন টানে তারা শহরের কুয়াশা দেখেই আমেজ নিচ্ছেন পাহাড়ের।
রাহী হালদার





