বর্ষার দেরিতে আগমন। তারপর লাগাতার ঝড় বৃষ্টি। এমন হতে পারে ভেবে আগে থেকেই আশঙ্কা ছিল কারিগরদের মধ্যে। হয়েছেও তাই। যার ফলে ব্যস্ততা আরও বেড়ে গিয়েছে শিল্পীদের মধ্যে। মৃৎশিল্পীরা বলছেন, বৃষ্টির ফলে প্রতিমা তৈরি করলেও, সেগুলি শুকনো করা যায়নি। রোদের দেখা পাওয়া যায়নি সেভাবে। অন্যদিকে বিশ্বকর্মা পুজোর আগে কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় একাধিক ছোট-বড় কারখানা রয়েছে। এই জেলায় বিশ্বকর্মা পুজোয় প্রতিমার চাহিদা অনেক বেশি থাকে। ছোট, বড় বিভিন্ন মাপের প্রতিমার অর্ডার থাকে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য প্রতিমা তৈরি করতে গিয়ে এই মুহূর্তে তাঁদের সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। বেশ কয়েকটা দিন নষ্ট হয়েছে। তাই আপাতত তাঁরা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব, বিশ্বকর্মা মূর্তি তৈরির কাজ সম্পন্ন করে ফেলতে।
advertisement
তাছাড়াও বিগত কয়েক বছরে শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুর এবং আসানসোলে বেড়েছে গণেশ পুজোর সংখ্যা। আগে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি গণেশ পুজো হত। কিন্তু এখন ক্লাব ভিত্তিকভাবে গণেশ পুজোর সংখ্যা বেড়েছে। ফলে গণেশ মূর্তির চাহিদাও রয়েছে। বেশি পরিমাণ মূর্তি তৈরি করতে পারলে মুনাফা হবে বেশি। তাছাড়াও এই পুজোর মরশুমে যা উপার্জন হবে, সেটাই আগামী এক বছরের জন্য ভরসা। ফলে বেশি বেশি সংখ্যক প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেয়ে মৃৎশিল্পীরা খুশি। কিন্তু তাঁরা অভিযোগ করছেন, প্রতিমা তৈরি করতে খরচ অনেক বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় প্রতিমার দাম বাড়ানো যায়নি। অন্যদিকে বৃষ্টির জন্য প্রতিমা তৈরি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। প্রতিমা গুলি শুকনো করতে গিয়ে খরচ বাড়ছে। তাছাড়া সামনেই দুর্গাপুজো রয়েছে। সেই কাজও এখন থেকে এগিয়ে রাখতে না পারলে সমস্যা হবে। সব মিলিয়ে চরম ব্যস্ততা জেলার কুমোরটুলিতে।
Nayan Ghosh